দিল্লির হয়ে খেলেছেন আইপিএল, রাজনীতির সঙ্গে ক্রিকেটেও সাবলীল তেজস্বী

বিহারে হয়তো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি আরজেডির নেতৃত্বাধীন মহাজোট। তবে মাত্র একত্রিশ বছর বয়সে বিহার রাজনীতির আঙিনায় যে দাপট লালু পুত্র তেজস্বী দেখেছেন তা এককথায় তুলনায়। তার একার ক্যারিশমায় ৭৫ টি আসন দখল করেছে রাষ্ট্রীয় জনতা দল। তবে রাজনীতির আঙিনায় চূড়ান্ত সফল হলেও ২২ গজেও যথেষ্ট সক্রিয় ছিলেন দাপুটে তেজস্বী যাদব। অবশ্য ব্যাটেবলে সেভাবে এঁটে উঠতে উঠতে না পারায় রাজনীতিতেই মন দিতে হয় তাঁকে।

বাবা জাতীয় রাজনীতির বড়সড় ব্যক্তিত্ব হলেও ছোট থেকেই ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখে এসেছেন লালু প্রসাদ যাদবের ছোট ছেলে তেজস্বী যাদব। লালু প্রসাদ যাদব তখন বিহার রাজনীতির মুল মাথা। তেজস্বীর মা রাবড়ি দেবী বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। বিহারের ক্রিকেট প্রশাসনের সঙ্গেও তখন সক্রিয়ভাবে জড়িত লালু। ফলে তেজস্বী যাদবের ক্রিকেটার হওয়ার প্রস্তুতি চলতে থাকে জোর কদমে। মিডল অর্ডারে ডানহাতি ব্যাটসম্যান ও স্পিন বোলার হিসেবে উঠে আসেন। সুযোগ পেয়ে যান ঝাড়খন্ড রাজ্য দলে। তবে বাবা প্রভাবশালী হওয়ার কারণে বিতর্ক প্রথম থেকেই জুড়ে ছিল তেজস্বীর সঙ্গে। অভিযোগ ওঠে বাবার প্রতিপত্তির কারণেই ক্রিকেটে সুযোগ হাতিয়ে নিচ্ছেন তেজস্বী যাদব। এই সময় আবার আইপিএলে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়েও সুযোগ পান তিনি। দিল্লির অনুর্ধ্ব ১৯ দলে খেলার পাশাপাশি, ২০০৮ সালে ভারতের অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ দলের স্ট্যান্ডবাই ক্রিকেটার হন তেজস্বী। তবে ২২ গজে সেভাবে সফলতা পাননি তেজস্বী যাদব।

আরও পড়ুন:বিজেপির ‘দাদাগিরি’, নীতিশ এখন কী করবেন?

২০০৯ এবং ২০১০ সালে ক্রিকেটার হিসেবে ঝাড়খণ্ডের হয়ে একটি ফার্স্ট ক্লাস, দু’টি লিস্ট এ এবং চারটি টি টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেন তেজস্বী৷ প্রথম শ্রেণির একমাত্র ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে ২০ রান করেন লালু পুত্র৷ সর্বোচ্চ ১৯৷ লিস্ট ও-র দু’টি ম্যাচে তিনি করেন ১৪ রান৷ একটি মাত্র টি টোয়েন্টিতে ৩ রান করেই আউট হন তিনি৷ বল হাতেও খুব একটা সফল হননি তেজস্বী৷ লিস্ট এ-র দু’টি ম্যাচ খেলে একটি উইকেট নিতে সফল হন তিনি৷ এরপর আইপিএলে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে সুযোগ পেয়ে যান তেজস্বী। যদিও ৪ মরশুম দিল্লিতে থাকলেও প্রথম একাদশে খেলার সুযোগ হয়নি তার। ক্রিকেট ক্যারিয়ার ওখানেই ফেলে রেখে এরপর বাবার হাত ধরে রাজনীতির আঙিনায় ঢুকে পড়েন তেজস্বী যাদব। ২০১৫ সালে লালুপ্রসাদ যাদব ও নীতীশ কুমারের জোট সরকারে উপ মুখ্যমন্ত্রী হন তেজস্বী। ২০২০ তে একক প্রচেষ্টায় সর্ববৃহৎ দল হিসেবে বিহারে উঠলেও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল আরজেডির।

Previous articleবিজেপির ‘দাদাগিরি’, নীতিশ এখন কী করবেন?
Next articleঝাড়খণ্ডে উপনির্বাচনে JMM-কংগ্রেসের কাছে পর্যুদস্ত বিজেপি