বাজি বন্ধে অত্যন্ত কড়া নজর প্রশাসনের। আর সেই কারণেই আদালতের নির্দেশ না মেনে বাজি বিক্রি করলে বা পোড়ালে বিস্ফোরক আইনের আওতায় পড়বেন বিক্রেতা ও ক্রেতা উভয়েই। এতে তিন বছর পর্যন্ত হাজতবাস এবং মোটা অঙ্কের জরিমানা হতে পারে। কোভিড পরিস্থিতিতে দূষণ রোধে এভাবেই কড়া হচ্ছে কলকাতা পুলিশ।

তবে, লালবাজার সূত্রে খবর, এই ধারা প্রয়োগ নতুন নয়। অন্যান্যবার কালীপুজোর দুদিন নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটালে ওই আইনে মামলা হত। এবছর যেকোনও বাজি কেনাবেচা করলেও ওই ধারায় মামলা দায়ের হবে।

আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, বিক্রেতারা কোনও ধরনের বাজিই বিক্রি করতে পারবেন না। কেউ বাজি কিনলেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাজি বিক্রি বা ফাটানোর রুখতে হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে লালবাজার। সেই নম্বরে এই বিষয়ে অভিযোগ জানানো যাবে।

লালবাজার সূত্রে খবর, বুধবার থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত বিস্ফোরক আইনে ২৮টি মামলা রুজু হয়েছে। ৫০০০ কেজি বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং ৩০ জন গ্রেফতার হয়েছেন।
শুক্রবারও শহরের বাজার, জনবসতি এলাকায় বাজির বিরুদ্ধে মাইকে প্রচার চালানো হয়েছে৷ কালীপুজোর রাতে নজর থাকবে বহুতলে। আবাসনের ভিতরে বাজি পোড়ালে সংশ্লিষ্ট কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশের মতে, শনি এবং রবিবার দুটি পরীক্ষা- এক: বাজি ঠেকিয়ে আদালতের রায়কে মান্যতা দেওয়া, দুই: মণ্ডপের বাইরের ভিড় ঠেকানো। দুর্গাপুজোর উদাহরণকে সামনে রেখে কালীপুজোও তারা সফলভাবে উতরে দিতে পারবে বলে আশাবাদী কলকাতা পুলিশ।

আরও পড়ুন-সচেতনতার বার্তা দিয়ে রাজ্যবাসীকে কালীপুজো-দীপাবলির শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর
