বায়োএনটেক-ফাইজারের ভ্যাকসিন রুখতে পারবে করোনা অতিমারিকে, দাবি বিজ্ঞানীদের

বিশ্ব জুড়ে কোভিড মোকাবিলায় ভ্যাকসিন তৈরিতে নিরন্তর প্রয়াস চলছে। বিভিন্ন দেশ তাঁদের সাধ্যমত চেষ্টা চালাচ্ছে। ভ্যাকসিন তৈরি করার তাড়নায় ঘুম উড়ে গিয়েছে বিজ্ঞানীদের। করোনা রুখতে একাধিক ভ্যাকসিন প্রস্তুতির কাজ চলছে। এর মাঝেই জানা গিয়েছিল বায়োএনটেক-ফাইজারের তৈরি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন মানবদেহে ৯০ শতাংশ কার্যকরী। এরপরেও আরও এক আশার কথা শোনাচ্ছেন বায়োএনটেক-ফাইজারের বিজ্ঞানীরা। তাঁরা দাবি করেছেন, তাদের তৈরি ভ্যাকসিন পৃথিবী থেকে মুছে দেবে করোনা অতিমারিকে।

বিজ্ঞানী উগার সাহিন দাবি করেছেন, “আমাদের বানানো করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন পৃথিবী থেকে মুছে দেবে করোনা অতিমারিকে।” জার্মান সংস্থার প্রধান সাহিন বলেছেন, ‘ভ্যাকসিনটা করোনা অতিমারিকে রুখে দিতে পারবে কিনা সেটাই সবথেকে বড় প্রশ্ন। আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, উত্তরটা হ্যাঁ।’

তৃতীয় অর্থাৎ শেষ পর্যায়ের ট্রায়ালে রয়েছে বায়োএনটেক-ফাইজারের তৈরি ভ্যাকসিন। ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে সাহিনের দাবি, তাদের ভ্যাকসিন ৯০ শতাংশ সফল। দুই সংস্থাই আশা রাখছে তাদের মিলিতভাবে তৈরি ভ্যাকসিনটি মানবদেহে এক বছরের বেশি সময় কার্যকর থাকবে। করোনার সংক্রমণ থেকে তা রুখে দিতে সক্ষম বলেই মনে করেন তিনি। ২০১৮ সালে ফাইজার সংস্থা তৈরি করেন সাহিন। চলতি বছরের মার্চ থেকে বায়োএনটেকের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে করোনা ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চালাচ্ছে তারা। ফাইজার সংস্থার প্রধান প্রবল আশাবাদী হলেও এখনও পুরো চিন্তামুক্ত হওয়া যাচ্ছে না। কারণ, ভ্যাকসিনের যাবতীয় ট্রায়াল চলছে কম বয়সের স্বাস্থ্যকর মানুষদের দেহে। তবে যাদের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, বা বয়স্কদের দেহে ভ্যাকসিনটা ঠিক কতটা কার্যকরী হবে, তা নিয়ে চিন্তা থেকেই যাচ্ছে। ফাইজারের প্রধান সাহিনের মত, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তাঁরা চূড়ান্তভাবে জানাতে পারবেন সবার শরীরেই ভ্যাকসিন একইরকম সফল হবে কিনা। কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি হবে না বলেও আশাবাদী তিনি।

আরও পড়ুন-‘করোনাসুর’ বধ করতে দেশে হাজির রাশিয়ার ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি