বাংলার জয়, আয়কর দফতরে চাকরি ফেরত পেলেন ছাঁটাই হওয়া ৫ বাঙালি কর্মী

বাঙালির জয় , বাংলার জয়। কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ আয়কর দফতরের কলকাতা শাখার পাঁচজন অস্থায়ী কর্মী, যাঁদের ইংরাজি বলতে না পারার অজুহাত দেখিয়ে অন‍্যায়ভাবে চাকরি থেকে অপসারিত করেছিল সংস্থার এক বহিরাগত আধিকারিক। বিষয়টি নিয়ে লাগাতার প্রতিবাদ জোরাল হওয়ায় অবশেষে সেই চাকরি ফিরে পেলেন ওই কর্মীরা।

হাওড়ার একটি ঠিকাদার সংস্থার মাধ্যমে পাঁচ কর্মচারীকে নিয়োগ করেছিল ইনকাম ট্যাক্স সেটেলমেন্ট কমিশন। রীতিমতো পরীক্ষা ও ইন্টারভিউ দিয়ে স্টেনোগ্রাফার হিসেবে চাকরি পেয়েছিলেন তাঁরা। প্রায় প্রত্যেকেই এক বছরের বেশি সময় ধরে চাকরি করছেন দফতরে। আচমকাই কর্তৃপক্ষের মনে হয়, তাঁরা ঠিক করে ইংরেজিতে কথা বলতে পারেন না। এমনকী তাঁদের টাইপের স্পিডও ভালো নয়, এই অভিযোগও আনা হয়। প্রশ্ন তোলা হয় কম্পিউটার জ্ঞান নিয়েও। আচমকা এমন অভিযোগ সামনে আসায় বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় দফতরের অন্দরেই। প্রশ্ন ওঠে এভাবে চাকরি কেড়ে নেওয়ার নৈতিকতা নিয়ে। নানা মহলে প্রতিবাদও করা হয়।

মূলত, বাংলার অধিকারের পক্ষে লড়াই করা সামাজিক সংগঠন “বাংলা পক্ষ”-এর প্রতিবাদ-আন্দোলনের ফলে তাঁদের চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়েছে। যা প্রতিটি বাঙালির কাছে অত্যন্ত খুশির খবর।

এই পাঁচ অস্থায়ী টাইপিস্ট ও স্টেনোগ্রাফারকে গত অক্টোবরে হঠাৎ করেই অপসারিত করার নির্দেশ দেন আয়কর দফতরের এক অধিকর্তা। অভিযোগ, তাঁরা নাকি ইংরাজি বলতে স্বচ্ছন্দ নন। কিন্তু তাঁদের চাকরিতে ইংরাজি বলার প্রয়োজনও নেই, আর চাকরির শর্তেও এমন উল্লেখ ছিল না। সম্পূর্ণভাবেই বাঙালি বিদ্বেষী মানসিকতা থেকেই এই ঘটনা ঘটানো হয়।

এরপরই ময়দানে নামে বাংলা পক্ষ। তাদের দাবি, বাংলার মাটিতে বাংলা বলতে না পারাটা অযোগ‍্যতা হতে পারে, ইংরাজি বলতে না পারাটা নয়। এই ঘটনার পর থেকেই লাগাতার আন্দোলন শুরু করে বাংলা পক্ষ। গত ১৬ ই অক্টোবর কলকাতায় আয়কর দফতরে বাংলা পক্ষ বিক্ষোভ সমাবেশ করে ও সংস্থার কর্তাদের স্মারকলিপি দিয়ে অবিলম্বে এবং নিঃশর্ত ভাবে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি করে। সংস্থার তরফে দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এবং অবশেষে ওই পাঁচ বাঙালিকে পুনর্বহাল করা হয়।

বাংলা পক্ষ তাদের প্রতিক্রিয়াতে জানায়, “এইভাবেই বঞ্চিত বাঙালির পাশে আছে থাকবে এবং শুধু পাশে থাকবে না সফল হবে। আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে এই সাফল‍্য সমস্ত সচেতন বাঙালিকেই উৎসর্গ করছি। আগামীদিনেও এই ভাবেই যেকোন বিপদে বাঙালির পাশে থাকতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। জয় বাংলা।”

আরও পড়ুন:এবার ‘দাদা’র জন্য অনুগামীদের পৃথক নিরাপত্তা দল

Previous articleএবার ‘দাদা’র জন্য অনুগামীদের পৃথক নিরাপত্তা দল
Next articleছাদ ঢালাই সম্পন্ন, দ্রুততার সঙ্গে চলছে বিমানবন্দর মেট্রো প্রকল্পের কাজ