বঙ্গের ভোটে দিল্লি-নাগপুরের অবাঙালি নেতাদের উপর আস্থা বিজেপির, কী তাঁদের পরিচয়?

পাখির চোখ ২১-এর নির্বাচনের দিকে। আর তাই আটঘাট বেঁধে নামছে গেরুয়া শিবির। বিধানসভার নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপির ৫টি জোনের দায়িত্ব দেওয়া হলো দিল্লি-নাগপুরের অবাঙালি আরএসএস নেতাদের হাতে। স্পষ্টতই, কলকাতার নেতাদের উপর ভরসা রাখতে পারছে না বিজেপি।

মঙ্গলবার হেস্টিংসের বৈঠকে রাজ্য নেতৃত্ব ও দলের আইটি সেলের অমিত মালব্যের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়। বৈঠকে সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত হলো নির্বাচনী দায়িত্বের রাশ রাজ্য নেতৃত্বের হাত থেকে নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের পছন্দের লোকেদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কলকাতার দায়িত্বে দুষ্মন্ত গৌতম, হুগলি-মেদিনীপুরের দায়িত্বে সুনীল দেওধর, নবদ্বীপের দায়িত্বে বিনোদ তাওড়ে, রাঢ়বঙ্গের দায়িত্বে বিনোদ সোনকার ও উত্তরবঙ্গের দায়িত্বে হরিশ দ্বিবেদী। সূত্রের খবর, জেলায় জেলায় বুথ স্তরে পৌঁছবেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্তরা। রাজ্যে আইটি সেলের কর্মকাণ্ড দেখবেন অমিত মালব্য। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে কথা বলার পর।

কী তাঁদের পরিচয়?

ত্রিপুরার ভোটে বিজেপিকে জিতিয়ে আনা ‘মিরাকেল ম্যান’ সুনীল দেওধর। সেরাজ্যে বাম শাসনের সমাপ্তি ঘটেছিল কার্যত তাঁর হাত ধরেই। একুশের ভোটকে লক্ষ্য করে তাঁকে দায়িত্ব দিচ্ছে বিজেপি। এরাজ্যে লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো হুগলি সহ শুভেন্দু অধিকারীর এলাকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিজেপির জাতীয় সম্পাদক সুনীল দেওধর এর আগে আরএসএস-এর প্রচারক হিসেবে কাজ করেছেন। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির কেন্দ্র বারাণসীতে প্রচারের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি।

কলকাতার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দুষ্মন্ত গৌতমকে। তিনি বিজেপির সহ সভাপতি। বিজেপির সদস্য হিসাবে হরিয়ানা থেকে ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সঙ্গে যুক্ত। এর আগে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। কিন্তু সেই ফল খুব একটা ভালো না।

একুশের বিধানসভাকে নির্বাচনকে সামনে রেখে নবদ্বীপের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিনোদ তাওড়কে। মহারাষ্ট্রের বিজেপির একজন সদস্য। তিনি রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক এবং মুম্বইয়ের সভাপতি। অল ইন্ডিয়া ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের। তিনি দ্বাদশ এবং ত্রয়োদশ তম লোকসভা নির্বাচনের জন্য বিজেপির সমন্বয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন।

২০১৪ এবং ২০১৯ সালে কৌশাম্বি থেকে সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন বিনোদ সোনকার। বঙ্গের আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রাঢ়বঙ্গের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁর হাতে। বিনোদ সোনকার বিজেপির সংখ্যলঘু মোর্চার সভাপতি। আবার সংসদের নীতিবিষয়ক কমিটির বর্তমান চেয়ারপার্সন তিনি।

উত্তরপ্রদেশের বাস্তি লোকসভা কেন্দ্রে ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন হরিশ দ্বিবেদী। তিনি উত্তরপ্রদেশে বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি ছিলেন। তিনি অনুরাগ ঠাকুরের নেতৃত্বে বিজেপির যুব মোর্চার দ্বারা পরিচালিত তিরঙ্গা যাত্রায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন:বঙ্গ বিজেপির ভোটের দায়িত্ব দিল্লি-নাগপুরের অবাঙালি নেতাদের হাতে

Previous articleভুয়ো খবর ছড়িয়েছে, কোনও পুজোর উদ্বোধন করিনি, বললেন সাকিব
Next articleবিদেশে অপরাধ, ২১৯ জন দেশবাসীকে অব্যাহতির পর কারামুক্তি