দুই বিধায়কের গোলমাল থামাতে এবার ভোটের প্রস্তাব নীচুতলার কর্মীদের

দুই নেতা তথা বিধায়কের গোলমালে অতিষ্ঠ দলীয় কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে ভোটাভুটি করে সিঙ্গুরে ব্লক সভাপতি নির্বাচনের দাবি উঠল তৃণমূলের অন্দরে। কারণ, ব্লক সভাপতি পদ নিয়ে তৃণমূলের দুই বিধায়কের কোন্দল থামার কোনও লক্ষণ এখনও দেখা যায়নি। সিঙ্গুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি মহাদেব দাসকে সরিয়ে দেওয়া দেওয়ার পরে শাসকদল কার্যত দু ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে। সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে দলত্যাগের হুমকি দিয়েছেন বর্ষীয়ান নেতা সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য।

এদিকে, মহাদেবকে যাতে ফিরিয়ে আনা না হয়, তার জন্য হরিপালের তৃণমূল বিধায়ক বেচারাম মান্নার গোষ্ঠী দলের উপরে চাপ করছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। এই পরিস্থিতিতে বিভ্রান্ত নীচুতলার কর্মীরা।

সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ দুধকুমার ধাড়ার অভিযোগ, দলের সাংগঠনিক কাজ আটকে রয়েছে। দুই বিধায়ক এবং সিঙ্গুর থেকে নির্বাচিত জেলা পরিষদের তিন সদস্য ও পঞ্চায়েত প্রধানদের নিয়ে দ্রুত বৈঠক ডাকা উচিত বলে মত তাঁর। আলোচনায় সমাধান না হলে, ভোটাভুটি করা হোক। ভোটের রায় যাঁর পক্ষে যাবে, তিনিই ব্লক সভাপতি হবেন।

তবে এই প্রস্তাব মাস্টারমশাই রাজি হবে কি না, তা নিয়ে ধন্ধ রয়েছে। কারণ, সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে থাকা বেশির ভাগ পঞ্চায়েতের প্রধানই বেচারামের অনুগামী। এমনকী, যিনি এই ভোটের প্রস্তাব দিয়েছেন, সেই দুধকুমার নিজেও ‘বেচারামের লোক’ বলে তৃণমূলে পরিচিত।

আরও পড়ুন:কোচবিহার তৃণমূলে ভাঙনের ইঙ্গিত দিলেন বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়া

রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য প্রশ্ন তুলেছিলেন, হরিপালের বিধায়ক যদি সেখানকার ব্লক সভাপতি ঠিক করতে পারেন, তবে সিঙ্গুরের বিধায়ক কেন সিঙ্গুরের ব্লক সভাপতি ঠিক করতে পারবেন না? তাঁর এই যুক্তিও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তৃণমূল নেতৃত্ব।

যদিও ভোটের প্রস্তাব সম্পর্কে বেচারাম মান্নার কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে, তৃণমূলস্তরিদ কর্মীরা চাইছেন দুই নেতার কোন্দলে ইতি টানুক জেলা ও রাজ্য নেতৃত্ব। কারণ, বিধানসভা ভোট এদিয়ে আসছে। এই সময় দুই বিধায়কের চাপানউতোর জারি থাকলে আখেরে লাভ হবে বিরোধীদের।

Previous articleকোচবিহার তৃণমূলে ভাঙনের ইঙ্গিত দিলেন বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়া
Next articleআদালতে বিচারপতি-আইনজীবীদের কালো কোট পরা বাধ্যতামূলক