রামনগরের ময়দান থেকে বিজেপি এবার ব্যক্তি আক্রমণে নেমে এলো। আক্রমণের লক্ষ্য কখনও মুখ্যমন্ত্রী তো কখনও তৃণমূল যুব সভাপতি। যুব সভাপতিকে টার্গেট করে বিজেপি আসলে বুঝিয়ে দিল, গেরুয়া শিবিরের স্বপ্নে ব্যাঘাত ঘটিয়েছেন ডায়মন্ডহারবারের তরুণ সাংসদ। তাই আক্রমণই আপাতত রক্ষণের একমাত্র পথ।

পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের রেল মাঠের সভায় এদিন প্রধান বক্তা ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গী। ঘুরে ফিরে তিনি সেই ‘বহিরাগত’ ইস্যুতেই আটকে গেলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের তুলে দেওয়া এই প্রশ্নের উত্তর এখন দিকে দিকে দিতে হচ্ছে বিজেপি নেতাদের। কৈলাশের প্রশ্ন, দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বহিরাগত? রোহিঙ্গা বা বাংলাদেশীরা বহিরাগত নন? কিন্তু একবারও বলেননি, রাজ্য বিজেপি নেতাদের উপর আস্থা হারিয়ে রাজ্যের সাংগঠনিক দায়িত্ব যে পাঁচজনের হাতে দিয়েছেন, তারা কেউই বাংলার ভূগোলটাই ভালো করে জানেন না। বাংলা ভাষাটাও বোঝেন না। তাহলে বাংলার মানুষের মন বুঝবেন কোন কৌশলে!

কৈলাশ বক্তা হিসাবে মোটেই আকর্ষণীয় নন। ফলে এলাকার যৎ সামান্য লোক এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাক-বাসে করে আনা মানুষজনের মধ্যে কোনও ছাপ ফেলতে পারেননি আজকের সভায়। অনুপ্রবেশ নিয়ে বারবার রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন কৈলাশ। কিন্তু একবারও বলেননি সীমান্তে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স কী করেছে এতদিন? বিএসএফ কেন অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়েছে? রাজনৈতিকমহলের অনেকেই বলছেন, আসলে অবোধের গোবধে আনন্দ! একইভাবে কয়লা পাচার নিয়ে প্রশ্ন তুলে কৈলাশ ভুলে যান, কয়লা বা খনি মন্ত্রক আসলে কেন্দ্রীয় সরকারেরই মন্ত্রক, যার দায়িত্বে নরেন্দ্র মোদিরই সহকর্মী।

খাগড়াগড় থেকে সুজাপুর তুলে অভিযোগের সংখ্যা বাড়াতে থাকেন কৈলাশ। অথচ আজ, শনিবার বিশেষজ্ঞ দল জানিয়েছে, বিস্ফোরক নয়, যান্ত্রিক ত্রুটিতেই সম্ভবত বিস্ফোরণ হয় সুজাপুরের কারখানায়। কৈলাশ মহিলাদের উপর অত্যাচার বা রাজনৈতিক হিংসায় বাংলাকে টেনে এনে আসলে বাস্তব তথ্যকেই বিকৃত করেছেন বলে অভিযোগ। কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী যোগীর রাজ্য উত্তরপ্রদেশ অনেক এগিয়ে।



আরও পড়ুন- দিলীপকে ‘ভাইরাস’ আখ্যা অনুব্রতর, “বেশি ডায়ালগ বাজি করে লাভ নেই” পাল্টা দিলীপ

