মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর পর এবার সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতি লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস ও মনীষীদের কথা তুলে ধরে বিজেপির বহিরাগত লাইনকে এবার তীব্র আক্রমণ করলেন বারাসাতের সাংসদ।

কাকলি বলেন, শিক্ষায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সাহসিকতায় নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস। আর প্রশাসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সাংসদের কথায়, ”পশ্চিমবঙ্গে বাঙালি নেতাদের উপরে ভরসা নেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বাইরে থেকে নেতা আনতে হচ্ছে।”

আরও পড়ুন:তৃণমূল ভবনে “বিক্ষোভ”: কাকলি বললেন গণতন্ত্র, কটাক্ষ দিলীপের

এরপরই কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, ”স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বাঙালিরা। আর বিজেপি যার অনুপ্রেরণায় চলে, সে ব্রিটিশদের কাছে আত্মসমর্পণ করে পাঁচবার মুচলেকা দিয়ে আন্দামান জেল থেকে বাইরে এসেছিল। শিক্ষাক্ষেত্রে নোবেল প্রাপক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সাহসিকতার নাম আসলে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস। আর প্রশাসনের নাম বললে আসবেন আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার বিরুদ্ধে লড়ার কে আছে? কেউ নেই ওদের। ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে। বাইরে থেকে নেতা আনছে। এখানে যাঁরা আসছেন, বাংলার কৃষ্টি, বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্পর্কে তাঁদের ধারণা নেই। বাংলার মা-বোনেদের সম্মান করতে জানে না, ওরা আবার মহিলা সুরক্ষার কথা বলে। বিজেপির নেতা-মন্ত্রীদের যে কেচ্ছা প্রকাশ্যে আসছে, তাতে ওদের মুখে অন্তত মহিলা সুরক্ষার কথা মানায় না।”

