পুরুষরা নারীর বেশে বরণ করছেন প্রতিমাকে

কারও হাতে জলের পাত্র। কেউ হাতে নিয়েছেন ডালা। কারও মুঠোয় গুচ্ছ ফুল। কারও পরনে বাসন্তী-রঙা শাড়ি। কেউ পরেছেন লালপেড়ে। কারও বা আটপৌড়ে বসন।

দশকের পর দশক ধরে জগদ্ধাত্রীর বিজয়ার লগ্নে এমন অসম্ভব মুহূর্ত তৈরি হয়। তেঁতুলতলা ও গঞ্জ বাজার- ভদ্রেশ্বরের দু’টি প্রাচীন পুজোয় পুরুষরা নারীর বেশে বরণ করেন প্রতিমাকে। রীতি মেনে সাতবার প্রতিমাকে প্রদক্ষিণ করা হয়। বিজোড় সংখ্যায় থাকেন পুরুষরা। তাঁদের আচার-আচরণ হয় নারীসুলভ। কোমর দুলতে থাকে, চপল চরণে ললিত ছন্দ। ভিড় যখন ভেঙে পড়ে, তখন সিঁড়ি বেয়ে উঠে দেবীর আরও কাছে পৌঁছে যান তাঁরা। মুখে সন্দেশ গুঁজে দেন। একে একে সকলে বরণ করেন জগদ্ধাত্রীকে।

এবছরের মতো দেবী জগদ্ধাত্রীকে বিদায় জানাতে ভিড় মণ্ডপে মণ্ডপে। করোনা আবহে কড়া নজরদারির মধ্যে জগদ্ধাত্রীপুজো হয়েছে চন্দননগরে। হাইকোর্টের সমস্ত রীতি মেনেই হয়েছে পুজো। দর্শনার্থীরা মাস্ক পরে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দেবীর দর্শনে এসেছিলেন। ২২৮ তম বছরে পদার্পন করেছে হুগলি জেলার ভদ্রেশ্বর তেঁতুলতলার পুজো। বিগত বছরগুলির মতোই এবছরও মঙ্গলবার দশমীর দিনে দেখা গেল পুরুষরা নারীর বেশে জগদ্ধাত্রী প্রতিমা বরণ করছেন। আসলে এই পুজোর মূল আকর্ষণ বাড়োয়ারির পুরুষেরা শাড়ি পরে বরণ করে। পূর্বের পুরুষতান্ত্রিক সমাজে মহিলারা পুজোতে অংশগ্রহন করতেনা। এই কারণে সেই প্রথা অনুযায়ী আজও এখানকার এই পুজোয় দশমীর দিন মাকে বিদায়ের বরণ পুরুষেরাই করেন।

আরও পড়ুন-কড়া নজরদারিতে চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী প্রতিমা বিসর্জন

Previous articleঅস্ট্রেলিয়ায় রোহিত-ইশান্তকে ছাড়াই প্রথম টেস্টে মাঠে নামবে কোহলিরা
Next articleব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল পরীক্ষায় সাফল্য ভারতের