প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও লোকজনশক্তি পার্টির প্রতিষ্ঠাতা রামবিলাস পাসোয়ানের শূন্য আসনে এবার কি বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদিকে রাজ্যসভায় পাঠাবে বিজেপি? এই সম্ভাবনা ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে নিজেদের শক্তিবৃদ্ধির পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবার রাজ্যসভার ওই আসনে নিজেদের প্রার্থী দিতে পারে বিজেপি।
বিহার থেকে রাজ্যসভায় জিততে ১২২ জন বিধায়কের সমর্থন দরকার। এনডিএ-এর হাতে আছে ১২৫ জন। এলজেপির একজন বিধায়ক সমর্থন না দিলেও চলবে। যদিও অনুমান, বিজেপি প্রার্থী দিলে চিরাগের দল কেন্দ্রে জোট টিকিয়ে রেখে প্রাসঙ্গিক থাকতে নিজেদের তাগিদেই রাজ্যসভায় সমর্থন করবে। আগামী ১৪ ডিসেম্বর রাজ্যসভা আসনের উপনির্বাচন।
এবার বিধানসভা ভোটের পর বিহারের দীর্ঘদিনের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা পরিষদীয় দলের নেতা সুশীল মোদিকে কোনও দায়িত্ব দেয়নি বিজেপি। বিহারের রাজনীতিতে নীতীশের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত দীর্ঘদিনের এই প্রবীণ নেতাকে নিয়ে বিজেপির অন্য পরিকল্পনা আছে, তা শোনা গিয়েছিল তখনই। বলা হচ্ছে, রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা সুশীল মোদির প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা দীর্ঘ। তা কাজে লাগাতে তাঁকে এবার নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। সেখানে তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ কোনও দফতর দেওয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে বিহারের রাজ্যসভা আসনটি থেকে তাঁকে জিতিয়ে আনলে সবদিক থেকেই সুবিধে। তবে সুশীল মোদির পাশাপাশি বিহারের নেতা ও জাতীয় মুখপাত্র শাহনওয়াজ হুসেন, ঋতুরাজ সিনহার নামও ভেসে উঠছে। যদিও পাল্লা ভারি সুশীল মোদির দিকেই।