তিন বিষয়ে একমত গুরুং-তামাং শিবির, জল মাপতে রবিবার কার্শিয়াঙে রোশন গিরি

কিশোর সাহা

নানা বিষয়ে মতবিরোধ থাকলেও তিনটি ব্যাপারে একমত বিমল গুরুং ও বিনয় তামাং। তাতেই ফের পাহাড়ে পা রাখার কাজ শুরু করেছেন বিমল গুরুংরা। সব ঠিক থাকলে, শনিবার শিলিগুড়িতে পৌঁছচ্ছেন বিমলের ডানহাত রোশন গিরি। রবিবার, কার্শিয়ং স্টেশনের সামনে রোশনের জনসভা করার কথাও রয়েছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে অনুমতি চেয়ে বিমল গোষ্ঠীর মোর্চার তরফে পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগও করা হয়েছে।
বিনয় শিবিরের লোকজন বিষয়টি জানলেও শনিবার পর্যন্ত কেউ রোশনের প্রস্তাবিত সভা নিয়ে কেউ আপত্তি করেনি। ফলে, বিমল-বিনয় শিবির ধীরে ধীরে কিছুটা হলেও কাছাকাছি আসছে বলে মনে করছেন পাহাড়ের অনেকেই। তাতে পাহাড়ে রাজনৈতচিক অশান্তির সম্ভাবনাও কমছে বলে ধারনা তাঁদের। মোর্চার বিনয় শিবিরের কয়েকজন জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা পাহাড়ে কোনও অশান্তির বিরুদ্ধে। বিমল ঘনিষ্ঠদেরও বার্তা, কোনও মতবিরোধ থাকলেও গোর্খারা এখন তিনটি বিষয়ে একমত হওয়ায় পাহাড়ে তাঁদের নিজেদের মধ্যে গোলমাল হবে না।

কী সেই তিনটি বিষয়-
প্রথমত, বিমল গুরুং ও বিনয় তামাং, দুই শিবিরের মূল লক্ষ্য পৃথক গোর্খাল্যান্ড আদায় করা। তাঁরা কখনও সেই দাবি থেকে সরেছেন বলে ঘোষণা করেননি।
দ্বিতীয়ত, বিনয় তো আগে থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে ছিলেন, এখন বিমলও সেই সুরে সুর মিলিয়ে আসরে নেমেছেন।
তৃতীয়ত, দুই শিবিরই তাঁদের নিজেদের মধ্যে মতবিরোধের কারণে পাহাড়ে কোনও গোলমাল, অশান্তি চান না। কারণ, তা হলে সেই সুযোগে ফের জিএনএলএফ কিংবা অন্য কোনও দল বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে পাহাড়ে কর্তৃত্ব কায়েম করতে পারে দুই শিবিরের অনেকেই মনে করছেন।
কিন্তু দীর্ঘদিন ফেরার থাকার পরে আচমকা পাহাড়ে ফিরলে কী প্রতিক্রিয়া হতে পারে তা আঁচ করতে চাইছেন বিমল গুরুং। তাই প্রথম দফাতেই নিজে হাজির না হয়, রোশন গিরিকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে একটি সূত্রের খবর।

সেই সূত্র অনুয়ায়ী, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ শিলিগুড়ির বাগডোগরা পৌঁছে লাগোয়া এলাকায় থাকার কথা রোশনের। পর দিন কার্শিয়াঙে দলীয় বৈঠকের পাশাপাশি একটি সভাও করার চেষ্টা করবেন তিনি।

আরও পড়ুন:কত টাকার মালিক ছিলেন মারাদোনা? সামনে এল সেই তথ‍্য

দলীয় সূত্র খবর, সেখানে মূলত বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতিভঙ্গের অভিযোগেই সরব হওয়ার কথা রয়েছে তাঁর।
প্রায় সাড়ে তিন বছর বাদে পাহাড়ের রাজনীতির ময়দানের জল মাপার চেষ্টা করবেন রোশন গিরি। তাঁর সেই কাজের উপরে অনেকটাই নির্ভর করবে বিমল গুরুংয়ের দার্জিলিঙে ফেরার বিষয়টি।

Previous articleকত টাকার মালিক ছিলেন মারাদোনা? সামনে এল সেই তথ‍্য
Next articleচিটফান্ড তদন্তে গতি আনতে ইডির নতুন স্পেশাল ডিরেক্টর কলকাতা জোনে