বিশ্বাসঘাতক! শুভেন্দুর নাম না করে সাতগাছিয়ার সভায় তুলোধনা করলেন অভিষেক

শুধু নামটাই করেননি। বাকি আক্রমণ ছিল সরাসরি আর চাঁচাছোলা ভাষায়। সাতগাছিয়ার মঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে কার্যত ধুইয়ে দিলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, কেউ যদি মা অর্থাৎ দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেন, তাহলে বুক পেতে দিয়ে তা রুখব, প্রতিরোধ করব, চোখে চোখ রেখে পাল্টা জবাব দেব, লড়াই হবে। অর্থাৎ মঞ্চ থেকেই অভিষেক বুঝিয়ে দিয়েছেন, নন্দীগ্রামের বিধায়ক আসলে দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতাই করছেন।

এতদিন সভায় থেকে সভায় শুধু শুভেন্দু অধিকারী বলছিলেন। দল থেকে সেভাবে প্রতিরোধের যুক্তি, পাল্টা যুক্তি দেওয়া হচ্ছিল না। অভিষেক রবিবার সেই দরজা খুলে দিলেন। একটার পর একটা বিষয় তুলে জবাব দিয়েছেন। মানুষের কাছে সমস্বরে উত্তর চেয়েছেন। কী বললেন?

এটা তৃণমূল কংগ্রেস। এখানে কেউ লিফটে করে ওঠেনি, প্যারাশুটে করে নামেননি। বলেই মঞ্চে বসে থাকা দলীয় নেতৃত্ব অশোক দেব থেকে সোনালী গুহকে দেখিয়ে বলেন, এরা কেউ লিফটে করে ওঠেননি, প্যারাশুটে করে নামেনি। যদি তাই হতো তাহলে এরা কেউ একটা পদ পেতেন না, বহু পদ পেতেন। কেউ কেউ অনেক কথা বলছেন, অনেক পদ আঁকড়ে ধরে রেখে।

এরপর নিজের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে শুভেন্দুকে সরাসরি আক্রমণ। বললেন, যদি আমি প্যারাশুটে করে নামতাম তাহলে দক্ষিণ কলকাতায় প্রার্থী হতাম। আমাকে দল ডায়মন্ডহারবারে লড়তে পাঠিয়েছিল। কারণ, তার আগে সেখানকার সাংসদ দল ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। দল আর মানুষের ক্ষোভ ছিল। তবু দল আমাকে লড়তে পাঠিয়েছিল। আর সেই সিট আমি জিতে এসেছি। আমি প্যারাশুটে করে নামিনি। এরপর সভায় আসা অগণিত মানুষের দিকে তাকিয়ে বলেন, আপনারা কেউ লিফটে উঠেছেন, না প্যারাশুটে নেমেছেন? আপনারা আছেন বলেই দলের নেতারা নেতা হয়।

দলের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে সভায় আসা অসংখ্য মানুষকে মঞ্চ থেকে অভিষেকের জিজ্ঞাসা, আজ যদি কোনও ব্যক্তি, ব্যক্তিগত স্বার্থে দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেন, নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য অন্য দলের সঙ্গে হাত মেলান, তাহলে তাকে কী ছেড়ে দেবেন? পাল্টা জনতার উত্তর, না ছাড়ব না। এবার আরও আক্রমণাত্মক অভিষেক। বলেন, হাত তুলে বলুন। ওঠে হাত। এবার চিত্র সাংবাদিকদের দিকে তাকিয়ে অনুরোধ, এই হাতগুলো দেখাবেন। উত্তর মানুষই দেবেন।

শুভেন্দু অধিকারীকে জবাব দেওয়ার কাজটা শুরু করলেন অভিষেক। এর পরের আক্রমণ যে আরও তীব্র হবে, তার ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন- শুভেন্দু অধিকারীর সরকারি নিরাপত্তা প্রত্যাহার করছে না রাজ্য

Previous articleধন্দে সরকারি কর্মীরা, ডিএ মিলবে ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে?
Next articleঅভিষেকের বক্তব্যের পাল্টা তোপ দাগলেন দিলীপ