অরাজনৈতিক স্মরণসভায় রাজনীতির রং লাগালেন না শুভেন্দু

স্মরণসভায় গায়ে লাগলো না রাজনীতির রং৷ মন্ত্রীপদে ইস্তফা দেওয়ার পর রবিবার মহিষাদলে ছিলো শুভেন্দু অধিকারীর প্রথম সভা এবং অবশ্যই ‘অরাজনৈতিক’ সভা৷ তবুও এদিন শুভেন্দু কী বলেন তা জানতে কৌতূহলী ছিলো রাজ্য রাজনীতি। এদিনও বড় মিছিল করে সভায় আসেন শুভেন্দু- অনুগামীরা।

আরও পড়ুন : অতৃপ্তি থেকেই দল বদল করছেন অনেকে, দাবি ফিরহাদের

প্রত্যাশা থাকলেও এই স্মরণসভায় শুভেন্দু রাজনীতির কথা একটাও বলেননি৷ প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামী রনজিত বয়ালের স্মরণসভাকে প্রকৃত অর্থেই স্মরণসভা রেখেছেন তিনি স্মৃতিচারণ করে৷ মাঝে একবার শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, “স্মরণসভায় হাততালি দেওয়া যায়না, হাততালি দেবেন না।” শুভেন্দু বলেন, নন্দীগ্রাম কাণ্ডের পর তিনি যোগাযোগ করেন স্বাধীনতা সংগ্রামী কুমুদিনী ডাকুয়া, সুশীল ধাড়াদের সঙ্গে। রণজিৎ বয়ালের সংগ্রামের কথাও বলেন৷ শুভেন্দু বলেন, “রণজিৎবাবুরা যে কাজ আমার হাতে দিয়ে গিয়েছে তা সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করবো”৷

মাঝে একবারই ‘আসল’ শুভেন্দুকে শোনা গিয়েছিলো, যখন তিনি বলেন, “জনগণই শেষ কথা বলে৷ জনগণের ঢেউ সামনে রেখেই আমি আমার দায়বদ্ধতা পালনের কাজ করে যাবো৷” সঙ্গে সঙ্গেই তিনি ঘোষণা করেন একাধিক অরাজনৈতিক কর্মসূচির কথা। শহিদ ক্ষুদিরামের জন্মদিবস, সর্বাধিনায়কের জন্মদিবস, তাম্রলিপ্ত সরকারের প্রতিষ্ঠা দিবস পালনের কথা৷ বুঝিয়ে দেন, আপাতত এটাই তাঁর দায়বদ্ধতা৷

Previous articleরাজ্যসভা ভোটে রামবিলাসের স্ত্রীকে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব আরজেডির, খারিজ চিরাগের
Next articleশুভেন্দু অধিকারীর সরকারি নিরাপত্তা প্রত্যাহার করছে না রাজ্য