চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে ধুন্ধুমার এসএসকেএম হাসপাতালে ।
পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি করার পর মৃত্যু হয় ৯ বছরের বালকের। চিকিৎসক না থাকার কথা বলে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পরিবারের।
জানা গিয়েছে, বালককে নিয়ে যাওয়া হয় ৪টি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে। কিন্তু সব জায়গা থেকেই বেড নেই বলে জানানো হয় । নয় বছরের শেখ তানবীর হোসেন তলপেটে যন্ত্রণায় ভুগছিল। আচমকাই শুরু হয়েছিল খিঁচুনি। শরীরে ক্রমশ কমে যাচ্ছিল অক্সিজেনের মাত্রা। শনিবার দুপুরে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেন পরিজনেরা। সেইমতো প্রথমে বেলভিউ ক্লিনিক, সিএমআরআই, পার্ক ক্লিনিক এবং সবশেষে ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথে নিয়ে যাওয়া হয় । কিন্তু বেড নেই, এই অজুহাতে কোনও হাসপাতাল ভর্তি নেয়নি।
রবিবার দুপুরে এসএসকেএম হাসপাতালে ছোট্ট তানবীরকে নিয়ে যান তাঁর পরিজনেরা। সেখানে মেলে বেড। শিশুটিকে সুস্থ করে তোলার জন্য তড়িঘড়ি অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। আজ সোমবার অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রবিবার মধ্যরাতেই সব শেষ। যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে শিশুটি।
এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাড়ির পরিজনরা । তাদের অভিযোগ, হাসপাতলে কোনও ওষুধই দেওয়া হয়নি শিশুটিকে। বারবার বলা সত্ত্বেও কোনও চিকিৎসক বা নার্স বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি।
শিশুটির মা জানিয়েছেন,
‘আমরা দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ, টাকার চিন্তা করিনি। ওরা একটু চেষ্টা করলে, আমার বাচ্চাটা ফিরে আসত’।
এসএসকেএম হাসপাতালের সুপার রঘুনাথ মিশ্র বলেছেন, “আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিশুটির চিকিৎসা শুরু করেছিলাম । দুর্ভাগ্যবশত তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি ।
