এবার বিশেষ টাস্কফোর্স রাজ্য সরকারের, সরকারি প্রকল্প পৌঁছবে জেলা ও ব্লক স্তরে

কোনও স্বাস্থ্য বীমা নেই এমন সকলকে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় আনার ঘোষণা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী কীভাবে আবেদন করতে হবে তা সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে জানালেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন জানিয়েছেন

▪️ নগদবিহীন এবং বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা পাওয়ার জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত স্তর এবং পুরওয়ার্ড স্তরে আয়োজিত ক্যাম্পে আসতে হবে।

▪️ প্রথম রাউন্ডে কেউ এসওপি নিয়ে এলে দ্বিতীয় রাউন্ডেই কার্ড পেয়ে যাবেন।

▪️ দ্বিতীয় রাউন্ডে এসওপি দিলে তৃতীয় রাউন্ডে কার্ড পাবেন।

▪️ জয় জোহর এবং তফসিলি বন্ধু প্রকল্প এই দুই প্রকল্পের মাধ্যমে আদিবাসী উন্নয়ন দফতর এবং অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দফতরের উদ্যোগে ৬০ বছরের উর্ধ্বে আদিবাসী, এবং দলিত সম্প্রদায়ের কোনও বরিষ্ঠ নাগরিক যিনি আর কোনও সরকারি আর্থিক সুবিধা পান না, তিনি মাসিক ১ হাজার টাকা অর্থ সাহায্য পাবেন।

▪️ সঙ্গে তফসিলি জাতি/উপজাতি/ এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর জন্য জাতিগত শংসাপত্র প্রদান করা হবে।

▪️ এছাড়াও খাদ্য সাথী সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যার জন্য এই ক্যাম্পে আবেদন করতে হবে। নাম ঠিকানা সংশোধন করা হবে। কুপন থেকে কার্ডে রূপান্তরিত করার জন্য ভিন্ন উপায়ে আবেদন করতে হবে।

▪️ ঐক্যশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে সংখ্যালঘু ছাত্র-ছাত্রীরা বৃত্তি পান। অনগ্রসর শ্রেণী, তফসিলি জাতি এবং আদিবাসী ছাত্র-ছাত্রীদের বছরে ৮০০ টাকা আর্থিক সাহায্য পাবেন।

▪️ রূপশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে একটি সুনির্দিষ্ট বয়সের পর বিয়ের জন্য মেয়েকে আর্থিক সাহায্য করা হয়। এই রূপশ্রী প্রকল্প সংক্রান্ত কোনও সমস্যার সম্মুখীন হলে ক্যাম্পে আসতে হবে।

▪️ কৃষক বন্ধু প্রকল্প সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যা, যেমন পরচা, নথিভুক্তকরণ ইত্যাদি যে কোনও সমস্যায় ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকরা সাহায্য করবেন। ১০০ দিনের কাজ এবং জব কার্ড সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যা হলে সাহায্য করা হবে।

সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, রাজ্য জুড়ে ২০ হাজার ক্যাম্প করা হবে। এই কর্মসূচিতে জেলা এবং ব্লকস্তরে সাফল্যমন্ডিত করতে একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স গড়ে তোলা হবে। বরিষ্ঠ আইএএস আধিকারিকরা নোডাল অফিসার হিসেবে কাজ করবেন। এছাড়াও বিডিওদের ক্যাম্প পরিদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলাশাসক, জেলা পুলিশের আধিকারিক, মহকুমাশাসক এবং বিডিওদের সাথে একাধিক আলোচনা সভা সংঘটিত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রচারের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। লোকপ্রসার এবং লোক শিল্পীদের প্রচারের কাজে নিযুক্ত করা হবে বলেও জানিয়েছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন-কৃষি বিলের প্রত্যাহারে দাবিতে কলকাতায় এসএফআইয়ের মিছিল

Previous articleকৃষি বিল প্রত্যাহারের দাবিতে কলকাতায় এসএফআইয়ের মিছিল
Next articleমা গঙ্গার তীরে দাঁড়িয়ে বলছি…কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর