“পদ পেয়ে ফুলমালা নিয়েছেন, কেক কেটেছেন, কাজ করেননি” মিহির প্রসঙ্গে কোচবিহার তৃণমূল যুব সভাপতি

তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানকারী বিধায়ক মিহির গোস্বামীর কাছে এলাকাবাসী কেউ কাজে গেলে কোনও সাহায্য করতেন না বলে তোপ দাগলেন দলেরই যুব সংগঠনের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। রবিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে অভিজিৎ জানান, কেউ চিকিৎসার কারণে মেডিক্যালে ভর্তি করানোর কথা বললে নেতাদের সহযোগিতা করা উচিত। কারও বাড়ির কাউকে যদি থানায় নিয়ে যাওয়া হয় তা হলে তাঁরা সাহায্য চাইলে জননেতার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। প্রয়োজনে থানায় ফোন করে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া উচিত।

অভিজিৎবাবুর দাবি, মিহিরবাবু কোনদিন মানুষের প্রয়োজনে সাহায্য করতে চাননি বলেই জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। সেই সঙ্গে অভিজিৎ দে ভৌমিক এ কথাও বলেন, “আমি চিকিৎসার জন্য ফোন করতে পারব না কারণ আমি সৎ, আমি থানায় ফোন করব না কারণ আমি সৎ, এমন করলে কীভাবে কেউ জনপ্রতিনিধি হবেন!”

তিনি আরও জানান, মিহির গোস্বামী তৃণমূলের কাজকর্মে ক্ষুব্ধ অথচ গত সাড়ে চার বছর ধরে বিধায়ক হিসেবে সব সুবিধে নিয়েছেন। এনবিএসটিসির চেয়ারম্যান হয়ে ফুলমালা নিয়ে সংবর্ধনা নিয়েছেন। রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হয়ে কেক কেটেছেন। অভিজিৎ জানান, তিনিও গত সাত বছর ধরে দলের বুথ কমিটির সভাপতি পর্যন্ত ছিলেন না। সে জন্য অভিমান করে কোনও দলে যাওয়ার কথা ভাবেননি। তাঁর প্রশ্ন, সাড়ে চার বছর বিধায়ক থেকে ভোটের চার-পাঁচ মাস আগে দল পাল্টানোর মানে কি! তৃণমূলের টিকিট পাবেন না ভেবে বিজেপিতে যোগ দিয়ে কাজ হাসিলের চেষ্টার স্বপ্ন কোচবিহারের মানুষই ভেস্তে দেবেন বলে অভিজিৎ ১১০ শতাংশ নিশ্চিত। বিজেপি ক্ষমতায় আসতে পারে এমন ভেবে থাকলে মিহিরবাবু মস্ত বড় ভুল করেছেন বলেও অভিজিতের দাবি।

বিষয়টি নিয়ে মিহিরবাবু কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। বিজেপি সূত্রের খবর, শীঘ্রই মিহিরবাবু কোচবিহারে সাংবাদিক বৈঠক করবেন। তাঁর বিরুদ্ধে জনবিচ্ছিন্ন হওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি কী বলেন সেটাই দেখার বিষয়।

আরও পড়ুন-এবার “খোকাবাবু” বললেন দিলীপ ঘোষ, পাল্টা দিলেন কুণাল

Previous articleএবার “খোকাবাবু” বললেন দিলীপ ঘোষ, পাল্টা দিলেন কুণাল
Next articleপোস্ট অফিসের সেভিংস অ্যাকাউন্ট: নয়া বিধি চালু