আজই কৃষকদের সঙ্গে বসতে চায় কেন্দ্র, প্রতিবাদীরা বললেন ডাকতে হবে সব সংগঠনকেই

কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভরত কৃষকদের সঙ্গে আজই বসতে চায় সরকার। প্রথমে ৩ ডিসেম্বর বৈঠকের কথা বলা হলেও কৃষকদের অনড় মনোভাব বুঝে তা দুদিন এগিয়ে এনে মঙ্গলবার দুপুর তিনটেয় বিজ্ঞান ভবনে ডাকা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বলেন, আমরা কৃষক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে খোলা মনে আলোচনায় বসতে চাই। প্রবল ঠান্ডা ও করোনাভাইরাস সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে কোনওরকম পূর্বশর্ত আরোপ করতে চাই না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বৈঠকের জন্য তাঁর পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি বাতিল করেছেন বলে জানান কৃষিমন্ত্রী। কেন্দ্রের এই প্রস্তাবের জবাবে এদিন সকালে আন্দোলনরত কৃষকদের তরফে বলা হয়েছে, শুধু ৩২ টি সংগঠনকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানালে চলবে না, কৃষকদের প্রতিনিধিত্বকারী দেশের ৫০০ টি সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। ফলে বৈঠক ঘিরে উভয় পক্ষের টানাপোড়েন অব্যাহত।

মঙ্গলবার ষষ্ঠদিনে পড়েছে কৃষক বিদ্রোহ। দিল্লির সবকটি সীমানা আগলে বসে রয়েছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। পাঞ্জাব, হরিয়ানা দিয়ে ঢোকার টিকরি ও সিঙ্ঘু সীমান্ত ও উত্তরপ্রদেশ থেকে ঢোকার গাজিপুর সীমান্ত লোহার ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রেখেছে দিল্লি পুলিশ। আর প্রবল ঠান্ডা আর শারীরিক কষ্ট উপেক্ষা করে হাজার হাজার কৃষক অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যারিকেডের ওপারে। দাবি একটাই, পুঁজিপতিদের স্বার্থবাহী কালা কৃষি আইন বাতিল করতে হবে। আইন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে লাগাতার। বিক্ষোভে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে কৃষক সংগঠনগুলির প্রতিনিধিরা রোজই এক একটি দলে এসে যোগ দিচ্ছেন। রাজধানী দিল্লিতে প্রবেশের সবকটি সীমানাই কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। হরিয়ানার খাপ পঞ্চায়েতগুলি কৃষক আন্দোলনকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছে। কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন বিজেপির জোট শরিক ও হরিয়ানার উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌতালা। রাজস্থানের আরএলপি সাংসদ হনুমান বেনিওয়াল হুমকি দিয়েছেন, নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহার না হলে তাঁর দল এনডিএ ছাড়বে। ফলে কৃষি আইনকে কেন্দ্র করে এবার শরিক কাঁটায় বিদ্ধ বিজেপি।

 

Previous articleবাড়ছে সংক্রমণ, কন্টেনমেন্ট জোনে বাজার-হাট বন্ধ রাখার নির্দেশ কেন্দ্রের
Next articleপ্যাক আপ বিতর্কের পর ফের বেসুরো মদন মিত্র