আগামীকাল শনিবার ফের কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা সর্বভারতীয় কৃষক সংগঠনগুলির। তার আগে শুক্রবার আন্দোলনকারী কৃষকদের পক্ষ থেকে আগামী ৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ভারত বনধ ডাকা হল। দিল্লি ঘেরাও অভিযানের নবম দিনে এই বড় ঘোষণার পথে হাঁটল কৃষক সংগঠনগুলি। বলা হয়েছে, ভারত বনধের দিন গোটা দিল্লি অচল করে দেওয়া হবে। নয়া কৃষি আইন বাতিল না করা পর্যন্ত অন্য কোনও বিকল্প মানা হবে না।
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে ভারতীয় ইউনিয়নের জেনারেল সেক্রেটারি এইচএস লাখোয়াল জানান, ‘আমরা গতকালের বৈঠকে সরকারকে জানিয়েছি অবিলম্বে কৃষি আইন প্রত্যাহারের জন্য। অন্যথায় আমাদের আন্দোলন জারি থাকবে। আগামী ৫ ডিসেম্বর গোটা দেশজুড়ে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির কুশপুতুল দাহ করা হবে। পাশাপাশি ৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ভারত বনধের ডাক দিয়েছি আমরা।’ কৃষকদের তরফে শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই প্রস্তাব রাখার পর এটা বেশ স্পষ্ট যে কৃষি আইন প্রত্যাহার না হলে কৃষকদের আন্দোলন আরও জোরদার হতে চলেছে। অবশ্য কৃষকদের এহেন হুঁশিয়ারি প্রভাব ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজধানী দিল্লিতে। দিল্লি-নয়ডা-দিল্লি এক্সপ্রেসওয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বন্ধ হয়ে গিয়েছে কৃষক আন্দোলনের জেরে। এই তথ্য সম্প্রতি টুইট করে প্রকাশ্যে এনেছে দিল্লি ট্রাফিক পুলিশ।
Yesterday, we told the Government that the farm laws should be withdrawn. On 5 Dec, effigies of PM Modi will be burnt across the country. We have given a call for Bharat Bandh on December 8: Bharatiya Kisan Union (BKU-Lakhowal) General Secretary, HS Lakhowal at Singhu Border pic.twitter.com/dA1Xykds2K
— ANI (@ANI) December 4, 2020
আরও পড়ুন:মহারাষ্ট্রে বিজেপিকে দুরমুশ করে দিল ‘মহাবিকাশ অঘড়ি’, ৬ আসনের ৫টিতে হার
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সরকারের সঙ্গে কৃষক সংগঠনগুলির টানা ৭ ঘণ্টা দীর্ঘ আলোচনার পরও কোনও রফাসূত্র বের হয়নি। দীর্ঘ বৈঠকের পর ওইদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার জানান, কৃষকদের প্রতি সরকারের কোনও ইগো নেই। তাঁর কথায়, এপিএমসি-কে আরো মজবুত করতে সরকার কাজ করে যাবে। একইসঙ্গে আগামী ৫ ডিসেম্বর শনিবার দুপুর দুটোয় ফের একবার কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক হবে বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি সরকারের তরফে এটাও জানানো হয়, এমএসপির ক্ষেত্রে কোনওরকম পরিবর্তন আনা হচ্ছে না। তবে কৃষকদের তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শুধু এমএসপি নয় সরকারের তরফে আনা তিনটি কৃষি আইন অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হোক।