অশান্তি কোথায়? একুশের নির্বাচন সামলাতে লালবাজারের কাছে তথ্য চাইল কমিশন

রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে নজর রেখে ইতিমধ্যেই কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে নির্বাচন কমিশন। চলছে জোর কদমে প্রস্তুতি। বঙ্গ নির্বাচনে হিংসার বদনাম ঘোঁচাতে এবার আরও বেশি তৎপর হয়ে উঠতে দেখা গেল নির্বাচন কমিশনকে। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে শহরে কোথায় কোথায় অশান্তি ও হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছিল সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হলো পুলিশের কাছে। শুধু তাই নয় অশান্তির পর পুলিশি ব্যবস্থা এবং মামলা রুজু করা হয়েছিল কিনা, যদি করা হয়ে থাকে তার বর্তমান অবস্থা কী সমস্ত কিছু জানতে চাওয়া হয়েছে‌।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহে নির্বাচন কমিশনের তরফে লালবাজারের কাছে ইমেইল করে জানতে চাওয়া হয়েছে এই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য। লালবাজারের তরফে আবার এই ইমেইল পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে সমস্ত থানাকে। থানাগুলিল থেকে পাওয়া তথ্য আবার নির্বাচন কমিশনকে দ্রুত পাঠিয়ে দেবে লালবাজার। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যাচ্ছে, একুশের নির্বাচনে যাতে কোনওরকম অশান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি না হয় তার জন্য আগে থেকে সতর্ক থাকা হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্র কোনগুলি রয়েছে অবিলম্বে চিহ্নিত করা হবে তা। শুধু তাই নয়, ১৮ নভেম্বর থেকে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে আগামী ১৫ ডিসেম্বর তার শেষ হওয়ার কথা। আরে গোটা প্রক্রিয়া নজর রাখছেন ৫ জন পর্যবেক্ষক।

আরও পড়ুন:শত্রু ডুবোজাহাজ চিহ্নিত-ধ্বংস করায় পারদর্শী রোমিও এবার প্রকাশ্যে

এ প্রসঙ্গে রাজ্যের এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, নির্বাচন যদি সঠিক সময় হয় সে ক্ষেত্রে কমিশনের হাতে এখনো চার মাস সময় রয়েছে। আর এই সময়ের মধ্যেই সমস্ত রকম প্রস্তুতি সেরে ফেলতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। পুলিশের দাবি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই প্রথম থানার কাছ থেকে এই সমস্ত নথি চাইল নির্বাচন কমিশন। শুধু তাই নয় নির্বাচনের আগে রাজ্যের সমস্ত জায়গায় পুলিশ আধিকারিকদের বদলির কাজটাও প্রায় সেরে ফেলা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী কোন জেলা বা ডিভিশনে তিন বছরের অধিক সময় কোনও পুলিশকর্মী কাজ করতে পারেন না।

Previous articleশত্রু ডুবোজাহাজ চিহ্নিত-ধ্বংস করায় পারদর্শী রোমিও এবার প্রকাশ্যে
Next articleসিঙ্গাপুরের শীর্ষ শিক্ষাসংস্থা উপদেষ্টা বাংলার প্রসূন