কখনও “ভাইপো” বলে, কখনও অন্য কথা বলে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণের নিশানা করছেন বিজেপি নেতারা। এ রাজ্যে বিজেপির “বহিরাগত” নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় এবার বললেন, বাংলায় ভাইপোর সংবিধান চলছে। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল মহাসচিব দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে এক জনসভায় যোগ দিয়ে বলেন, “অভিষেক আমাদের দলের যুবনেতা। দু-বারের সাংসদ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে ভয় পেয়েছে, দুয়ারে সরকার দেখে চমকে উঠছে বিজেপি। তাই তাদের আর কোনও কর্মসূচি নেই। শুধু একটাই কাজ অভিষেককে আক্রমণ করা। এর ফলে স্পষ্ট, পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে বিজেপির। বাইরে থেকে প্লেয়ার এনেও খেলতে পারছে না বিজেপি।
অন্যদিকে, শুভেন্দু পর্বের মধ্যেই রাজ্যের আরেক মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বেসুরো কথা বলছেন। তাঁর নামেই শহরজুড়ে পোস্টার পড়ছে। রাজীব প্রসঙ্গে তৃণমূল মহাসচিব বলেন, “কে বেসুরো বলছে জানি না। বাংলায় একটাই সুর। সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুর। এর বাইরে কেউ কিছু বললে সুর কেটে যাবে। আর রাজীবের সঙ্গে আমার কোনও কথা হয়নি। ও আমার সহকর্মী। ও এমন কোনও কথা বলেনি, যাতে অন্য কিছু মনে হতে পারে।”
আরও পড়ুন:বড়দিনে হিন্দুরা চার্চে গেলে পেটাব, হুমকি বজরং দলের নেতার
এদিকে আবার রাত পোহলেই মেদিনীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা। এই সভাকে কটাক্ষ করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, লোক হবে না। মাঠ ভরাতে বিজেপিকে লোক পাঠাতে হবে। তাঁকে পাল্টা দিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ওনার মাথার ঠিক নেই। ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন। এখানে না হলে দিল্লিতে গিয়ে এইমসে চিকিৎসা করান উনি”!
ডিসেম্বরের মধ্যে তৃণমূল দলটাই উঠে যাবে। তৃণমূলকে শায়েস্তা করতে প্রয়োজনে তিনি গুন্ডামি করবেন। দিলীপ ঘোষের এমন মন্তব্যের জবাবে পার্থবাবু বলেন, “উনি নিজেই বলছেন গুন্ডামি করবো। আর ওনাকে গুন্ডা বললে আবার মামলা করছেন। উনি কোন চরিত্রে অভিনয় করবেন, সেটা আগে ঠিক করুন।”