Saturday, August 23, 2025

‘সেটাই করছি যা UPA সরকার করতে চেয়েছিল’, বিরোধীদের তোপ রবিশঙ্করের

Date:

শক্তিশালী কৃষক আন্দোলন ইতিমধ্যেই ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছে মোদি সরকারের। তিনটি কৃষি বিল বাতিল করতে হবে এই দাবিতে অনড় দেশের কৃষকরা। এই আন্দোলনে কৃষকদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে অবিজেপি সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। এহেন সময়ই এবার বিরোধীদের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হয়ে উঠলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। এদিন তিনি বলেন,আন্দোলনরত শিক্ষকরা আগেই স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা যেন আমাদের মঞ্চে না আসেন। কিন্তু তারপরও এরা শুনছে না। এই ঘটনা শুধু কৃষক আন্দোলনের ক্ষেত্রে নয়, শাহিনবাগ কিংবা যেকোনও রকম সংশোধনের ক্ষেত্রে এরা সরকার বিরোধিতায় দাঁড়িয়ে পরে। এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস ও এনসিপিকে একহাত নিয়ে রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘শুধু বিরোধীতা করবো বলেই বিরোধিতা কখনোই কাম্য নয়।’

এরপরই সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া বিবৃতিতে রবিশঙ্কর প্রসাদ জানান, ”আজ আমাদের সরকার যা করেছে, ইউপিএ সরকার ১০ বছরে এটাই করতে চেয়েছিল। নিজেদের রাজ্যে তারা এটা করতে চেয়েছে। তথ্যসহ এটা প্রমাণ করতে পারি। কংগ্রেস ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে যে ইস্তফাপত্র প্রকাশ করেছিল তার ১৭ নম্বর পৃষ্ঠায় ১১ তম পয়েন্টে বলা হয়েছে ‘কংগ্রেস এপিএমসি সরিয়ে আন্তঃরাজ্য বাণিজ্য বিনামূল্যে করার কাজ করবে।’ আমাদের সরকার ঠিক সেটাই করেছে।”

আরও পড়ুন:ধান ছুঁয়ে কৃষকদের আন্দোলনের পাশে থাকার শপথ মমতার

শুধু তাই নয়, এ প্রসঙ্গে রবিশঙ্কর প্রসাদ দাবি করেন, ‘এ বিষয়ে কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর কিছু বক্তব্য রয়েছে। ২০১৩ সালে উনি কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক ডেকেছিলেন। যেখানে বলা হয় কৃষকরা তাদের ফসল কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে সরাসরি বিক্রি করতে পারবে। শুধু তাই নয় এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার যিনি এই আইনের বিরোধিতা করছেন। তাঁর প্রসঙ্গ তুলে ধরে রবিশঙ্কর প্রসাদ জানান, উনি যখন কৃষি মন্ত্রী ছিলেন তখন সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন। সেখান থেকে দুটো চিঠি আমি তুলে ধরছি একটি শীলা দীক্ষিত লেখা এবং দ্বিতীয়টির শিবরাজ সিং চৌহানকে লেখা। সেখানে বলা হয়েছে কৃষি ক্ষেত্রে বিকাশের জন্য বড় মাত্রায় বিনিয়োগ প্রয়োজন। এর জন্য বেসরকারি বিনিয়োগ জরুরি। মান্ডি প্রথার পরিবর্তনের বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছিল চিঠিতে। শুধু তাই নয় সংবাদমাধ্যমকে সেই সময়ে এক সাক্ষাৎকার দিয়ে বলেছিলেন, এপিএমসি আইন ছয় মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এ প্রসঙ্গ তুলে ধরে রবিশঙ্কর প্রসাদ স্পষ্টভাবে জানান বিরোধীদের এহেন বিরোধিতা কোনও ভাবে মানায় না। গত ১০ বছর ধরে তারা যেটা করতে চাইছিল আমরা সেটাই করেছি।

Related articles

দায় বেসরকারিকরণ নীতির! মোদিরাজে পাঁচ বছরে চাকরি হারিয়েছেন লক্ষাধিক কর্মী

মোদি সরকারের আমলে বিগত পাঁচ বছরে চাকরি হারিয়েছেন লক্ষাধিক সরকারি কর্মী। সম্প্রতি লোকসভায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল কেন্দ্র।...

পুজোর আগে প্রায় দ্বিগুণ দুধ উৎপাদনে বাংলার ডেয়ারি 

কলকাতা এবং সংলগ্ন জেলাগুলিতে প্যাকেটজাত দুধের জোগান বাড়াতে রাজ্য সরকারি ব্র্যান্ড বাংলার ডেয়ারি বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে। পুজোর...

পিছনে দৌড়! স্নাতক স্তরে বৈদিক গণিত আনার চেষ্টা UGC-র

গোটা বিশ্ব গণিতের ক্ষেত্রে যেখানে নতুন উদ্ভাবনী ধারণা নিয়ে আসছে, সেখানে ভারতের শিক্ষা ক্ষেত্রে পিছন দিকে হাঁটা শুরু...

হালিশহর ও কাঁচরাপাড়া পেল স্বচ্ছ ভারত মিশনের ‘ওডিএফ প্লাস’ সার্টিফিকেট 

বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের প্রান্তিক দুই শহর হালিশহর ও কাঁচরাপাড়া এবার স্বচ্ছ ভারত মিশনের ‘ওপেন ডিফেকেশন ফ্রি প্লাস’ (ওডিএফ প্লাস)...
Exit mobile version