একই দিনে জোড়া বনধের প্রভাব উত্তরবঙ্গের জনজীবনে

কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ডাকা বনধের দিনই বিজেপির বনধ ডাকা নিয়ে প্রশ্ন। কেন্দ্রের নতুন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকদের ডাকা ভারত বনধের জেরে মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের জনজীবন সকাল থেকেই বিপর্যস্ত। তরাই-ডুয়ার্সের প্রায় সব চা বাগান বন্ধ। রাস্তায় যান চলাচল একেবারেই কম। ট্রেন চললেও নানা জায়গায় অবরোধের জেরে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অনেক দেরিতে গন্তব্যে পৌঁছয়।

মালদা, কোচবিহার, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়িতে বাম দলের নেতা-কর্মীদের পথে নামতে দেখা যায়। কয়েকটি এলাকায় পিকেটিং, টোটো, অটো, গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। কোচবিহারে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোথাও গোলমালের খবর নেই। পুলিশ সূত্রে খবর, সব এলাকাতেই বাড়তি টহল চলছে। বনধের প্রভাব দার্জিলিং পাহাড়ে তেমন পড়েনি। কারণ, বিনয় তামাং, অনীত থাপা, বিমল গুরুংরা কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন করলেও বনধে সামিল হননি।

তবে, পাহাড়ের অনেক চা বাগানে শ্রমিকরদের একটা বড় অংশ গরহাজির ছিলেন। সিপিআইএম, কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের দাবি, চা শ্রমিকরাও বনধকে সমর্থন করেছেন।

এদিকে, সোমবার উত্তরকন্যা অভিযানের সময়ে উলেন রায় নামে এক কর্মীর মৃত্যুর ঘটনার জেরে এদিন বিজেপিও ১২ ঘণ্টার উত্তরবঙ্গ বনধ ডেকেছে। সেই মতো সকাল থেকে মালদা, রায়গঞ্জে বিজেপির কর্মীরা রাস্তা অবরোধ করেন। শিলিগুড়িতেও বিজেপির মিছিল দেখা যায়। তবে কোথাও গোলমালের খবর এখনও অবধি নেই।

শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, মালদা, বালুরঘাটে প্রায় সব দোকানপাট বন্ধ ছিল। অফিসও প্রায় ফাঁকা। আদালতের কাজকর্মও স্বাভাবিক নয়। বনধের জেরে বাগডোগরা বিমানবন্দর, এনজেপি স্টেশনে পৌঁছনো যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। তবে পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় শেষ অবধি গন্তব্যে পৌঁছতে পারেন অনেক যাত্রীই।

এমনিতেই কৃষকদের ডাকা বনধে বামপন্থী একাধিক সংগঠন ও কংগ্রেস সামিল হয়েছে। তার পরে বনধের দিনই বিজেপির বনধ ডাকার মানে কি তা নিয়ে অবশ্য আমজনতার মধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠেছে।

আরও পড়ুন-সকাল থেকে রাস্তায় ধর্মঘটীরা, কৃষকদের ভারত বনধে রাজ্যেও রেল-রাস্তা অবরোধ

Previous articleবনধের সময় বদল! সুর চড়িয়েও দরদী কৃষকরা
Next articleভারত বনধ ব্যর্থ করতে পথে বিজেপির কৃষাণ মোর্চা