সকাল থেকে রাস্তায় ধর্মঘটীরা, কৃষকদের ভারত বনধে রাজ্যেও রেল-রাস্তা অবরোধ

কেন্দ্রের “কালা” কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আজ, মঙ্গলবার ভারত বন্‌ধের ডাক দিয়েছেন কৃষকরা। বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালীন যাতে মাস্ক পরা এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো অতিমারী বিধি মেনে চলা হয়, তা নিশ্চিত করতে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকারগুলির উদ্দেশে নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সিঙ্ঘু সীমানায় অবস্থানকারী কৃষক নেতাদের তরফেও স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, জোর করে কাউকে বন্‌ধ পালনে বাধ্য করা হবে না। তবে সকাল থেকেই দেশজুড়ে স্বতঃস্ফূর্ত বনধের ছবি ফুটে উঠেছে।

ভারত বনধের প্রভাব পড়েছে বাংলাতেও। বনধের সমর্থনে রাজ্যে মূলত একাধিক জায়গায় রেল অবরোধ করেছে বামের। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় যাদবপুরে আটকে রয়েছে লোকাল ট্রেন। রিষড়া, ডোমজুড়েও রেল অবরোধ করা হয়েছে। উত্তর শাখার মধ্যমগ্রামেও চলছে রেল অবরোধ।

বনধের সমর্থনে সকাল থেকেই রাস্তায় নেমেছে লাল ঝান্ডাধারীরা। যাদবপুর, লেকটাউনে পথে নেমেছেন বনধ সনর্থকরা। কলকাতা শহরের পাশাপাশি জেলায় জেলায় সকাল থেকেই মিছিল শুরু করেছে বামেরা। জয়নগরের কুলপি রোড অবরোধ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এছাড়া পাঁশকুড়া ও বালিতেও রাস্তা অবরোধ করা হয়েছে। মধ্যমগ্রামের দোলতলা মোড়ে যশোর রোড অবরোধ করেন বাম কর্মী-সমর্থকেরা। মধ্যমগ্রাম চৌমাথা মোড়েও শুরু হয় অবরোধ। এছাড়া বাঁকুড়ায় কেরানিবাঁধ মোড়ে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ করে বাম কৃষক সংগঠন সদস্যরা।

অন্যদিকে কোচবিহারে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাসে আগুন লাগানোর চেষ্টা করে বনধ সমর্থনকারীরা। বাস ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন-বনধে সরকারি কর্মীদের হাজিরা নিয়ে কোনও নির্দেশিকা নেই

Previous articleবাতিল নয়, কৃষি আইনে সংস্কার আনলেই হবে! সুর বদল হরিয়ানা কৃষক সংগঠনের
Next articleহিম্মত থাকলে চলুন এই ‘দু পয়সার নেত্রী’কে সব সংবাদমাধ্যম বয়কট করি, অভিজিৎ ঘোষের কলম