বাতিল নয়, কৃষি আইনে সংস্কার আনলেই হবে! সুর বদল হরিয়ানা কৃষক সংগঠনের

সরকারের সঙ্গে পাঁচ দফা বৈঠকে কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে অনড় ছিল দেশের কৃষক সংগঠনগুলির। যদিও বারবার সমঝোতায় রাস্তায় হাঁটতে চেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। অবশেষে কিছুটা হলেও সবুজ সঙ্কেত মিলল কৃষকদের তরফ থেকে। সোমবার হরিয়ানার তিনটি কৃষক সংগঠন জানিয়ে দিল, কৃষি আইন সম্পূর্ণ বাতিল করার কোনও প্রয়োজন নেই, আইনে কিছু সংস্কার আনলেই হবে। সোমবার সন্ধ্যায় এই তিনটি সংগঠনের প্রতিনিধিরা সাক্ষাৎ করেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমাদের সঙ্গে। এখানেই নিজেদের কথা জানান তারা।

জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় এই সংগঠনগুলোর তরফে একটি চিঠি দেওয়া হয় সরকারকে। যেখানে সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বের স্বাক্ষর ছিল। চিঠিতে তাদের তরফে জানানো হয়েছে, ‘আমরা চাই কৃষকরা তাদের ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য পান। একইসঙ্গে মান্ডি গুলি যেন সচল থাকে। এই দুটি বিষয় নিশ্চিত করলে সরকারের আনা বর্তমান কৃষি আইন নিয়ে আমাদের কোনও সমস্যা নেই’। জানা গেছে হরিয়ানার এই তিনটি কৃষক সংগঠনে সদস্য রয়েছেন ১ লক্ষ ২০ হাজার। অথচ শনিবার সরকারের সঙ্গে বৈঠকের পর কৃষকদের স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল তারা আইন তিনটির বাতিল চান। অন্য কথা বলে সরকার বৈঠকের নামে সময় নষ্ট করছে। কোনওভাবেই অন্য কোনও বিকল্প তারা মানবেন না। সেই ঘটনার পর তিনটি সংগঠনের এহেন সিদ্ধান্ত নিশ্চিতভাবেই সরকারের ঘরে স্বস্তির হাওয়া। সরকার যে কৃষকদের স্বার্থ বজায় রেখেই আইনে কিছুটা পরিবর্তন আনতে চায় সে কথা আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল কৃষকের।

আরও পড়ুন:কৃষক স্বার্থে আজ থেকে পথে তৃণমূল, গান্ধী মূর্তির পাদদেশে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ

এদিকে আগামী ৯ ডিসেম্বর বুধবার ফের একবার সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে কৃষকরা। তার আগে মঙ্গলবার ভারত বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে কৃষকদের। মঙ্গলবার ১১ টা থেকে ৩টে পর্যন্ত জারি থাকবে এই ভারত বনধ। ফলস্বরূপ একাধিক রাজ্য স্তব্ধ হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। মূলত দিল্লি ও হরিয়ানাতে পুলিশের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে বনধের সময় বেশ কয়েকটি রাস্তা এড়িয়ে চলতে। যদিও আন্দোলনকারীদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই আন্দোলন সম্পূর্ণরূপে শান্তিপূর্ণ থাকবে। অ্যাম্বুলেন্স ও অন্যান্য জরুরী পরিষেবা যাতে সচল রাখা যায় সেদিকেও নজর রাখা হবে।

Previous articleবনধে সরকারি কর্মীদের হাজিরা নিয়ে কোনও নির্দেশিকা নেই
Next articleসকাল থেকে রাস্তায় ধর্মঘটীরা, কৃষকদের ভারত বনধে রাজ্যেও রেল-রাস্তা অবরোধ