সাত সকালেই মেজাজ হারালেন সুকান্ত! বালুরঘাটে হারের গন্ধ পেল বিজেপি?

চলতি লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে চলছে দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ। সকলের নজর দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে। কার্যত হেভিওয়েট কেন্দ্রে। লড়াইয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা বিদায়ী সাংসদ সুকান্ত মজুমদার ও রাজ্যের মন্ত্রী তৃণমূলের বিপ্লব মিত্র। সকাল থেকেই এই কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষপাতিত্ব ও ইভিএম নিয়ে অভিযোগ করে আসছে তৃণমূল। তবে হারের গন্ধটা পেয়ে গিয়েছে বিজেপি!

সাত সকালেই মেজাজ হারালেন সুকান্ত মজুমদার।

ঘটনা ঠিক কী? তপনের পতিরাম গার্লস স্কুলের ১০০ নম্বর বুথে সুকান্ত মজুমদারকে ঘিরে “গো ব্যাক” ও “জয় বাংলা” স্লোগান তৃণমূল কর্মীদের। বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূলের কর্মীরা। আর বুথের কাছে তৃণমূলকর্মীদের স্লোগান শুনে মেজাজ হারিয়ে তাঁদের দিকে আঙুল উঁচিয়ে তেড়ে গেলেন সুকান্ত মজুমদার। তপনের প্রতিরামে বুথ সামনেই তৃণমূল-বিজেপি ধস্তাধস্তি। বালুরঘাটে তৃণমূলকর্মীদের সঙ্গে ব্যাপক বচসায় জড়িয়ে পড়েন সুকান্ত মজুমদার। সুর সপ্তমে চড়িয়ে বিজেপি প্রার্থী বলেন, ”এত সাহস তৃণমূলের, আমাকে ধমকাচ্ছে, দেখি কত বড় গুণ্ডা”!

পাশাপাশি, বুথে কর্মরত পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গেও বচসায় জড়িয়ে পড়েন সুকান্ত। তিনি জানান, পুলিশ নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে না। বালুরঘাটের আইসির বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলেন তিনি। সুকান্ত বলেন, ‘‘বালুরঘাটের আইসিকে সরাতে হবে. না, হলে এ রাজ্যে কোনওভাবেই নিরপেক্ষভাবে ভোট করা যাবে না।”

অন্যদিকে, তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, নিশ্চিত হার বুঝেই শান্তিপূর্ণ এলাকায় অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

এদিকে, বালুরঘাট পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৩০ নম্বর বুথ নিয়ে সকাল থেকেই অভিযোগ জানিয়ে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের অভিযোগ, ভোটারদের অহেতুক হয়রানি এবং মারধর করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা মারধর করছে বলে অভিযোগ। পরিস্হিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যান বালুরঘাট থানার আইসি। বিশাল পুলিশ বাহিনীও পাঠানো হয় ওই কেন্দ্রে।

আরও পড়ুন- কাশ্মীর উপত্যকায় উত্তেজনা: ভোটের মাঝেই সেনা-জঙ্গির সংঘর্ষে নিকেশ এক জঙ্গি!

Previous articleকাশ্মীর উপত্যকায় উত্তেজনা: ভোটের মাঝেই সেনা-জঙ্গির সংঘর্ষে নিকেশ এক জঙ্গি!
Next articleব্যালটে নয় ইভিএমেই হবে ভোট, বড় রায় দেশের শীর্ষ আদালতের!