কেরলের নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই , কিছুটা এগিয়ে বাম জোট

কেরলের রাজনৈতিক ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, প্রতি পাঁচ বছর অন্তর সেখানে পরিবর্তন ঘটে। ২০১৫ সালে কংগ্রেস জোটের রাজত্বকালে যখন স্থানীয় নির্বাচন হয়েছিল, তখন সেখানে কার্যত সুইপ করেছিল বামজোট।
সেই হিসেবে, মনে করা হচ্ছিল যে এ বার ক্ষমতায় আসতে চলেছে কংগ্রেস জোট। কারণ, বামেদের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান-বিরোধিতার হাওয়া ছিল। সোনা পাচার কাণ্ডও এই নির্বাচনে একটা ইস্যু হয়ে উঠেছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও দেখা যাচ্ছে আপাতত রাজ্যে পঞ্চায়েত এবং পুরসভা স্তরে কংগ্রেসের জোটের থেকে সামান্য এগিয়ে রয়েছে বামেরা।
কেরলে পুরভোটে কোচি কর্পোরেশন নর্থ আইল্যান্ড ওয়ার্ডে কংগ্রেসের মেয়র পদপ্রার্থী এন বেনুগোপাল মাত্র এক ভোটে হেরেছেন বিজেপির কাছে। বেনুগোপাল বলেছেন, একেবারে নিশ্চিত আসন ছিল। কী হল, বলতে পারছি না। দলে কোনও সমস্যা ছিল না। সমস্যা ছিল ভোটযন্ত্রে। সেটাই হয়ত বিজেপির জয়ের কারণ। এখনও ভোটযন্ত্রের ইস্যু নিয়ে আদালত যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিইনি। ঠিক কী হয়েছে, সেটা খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেব।
কেরলে রাজ্যজুড়ে ২৪৪টি গণনাকেন্দ্রে স্থানীয় পুরভোটের গণনা চলছে। যাবতীয় কোভিড সতর্কবিধি মেনে সকাল ৮টায় গণনা শুরু হয়।
সিপিএম নেতৃত্বাধীন বাম গণতান্ত্রিক জোট, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত গণতান্ত্রিক জোট বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ ভোটে লড়ছে।
কেরলে তিন দফায় পুর নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়েছে। তৃতীয় দফায় ৭৮.৬৪ শতাংশ, দ্বিতীয় ও প্রথম দফায় যথাক্রমে ৭৬.৩৮ ও ৭২.৬৭ শতাংশ ভোট পড়েছে।
রাজ্যের ছ’টি পৌর নিগমের মধ্যে চারটিতে এগিয়ে এলডিএফ, দু’টিতে ইউডিএফ। পুরসভাগুলির মধ্যে ৪৫টিতে ইউডিএফ, ৩৫টিতে বামজোট এবং ২টিতে এগিয়ে বিজেপি।
রাজ্যে ৯৪১টা গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৮৯৭টা গ্রাম পঞ্চায়েতের ফলাফলের ট্রেন্ড সামনে এসেছে। এর মধ্যে বামজোট, অর্থাৎ এলডিএফ এগিয়ে রয়েছে ৪৫৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতে, ইউডিএফ এগিয়ে ৩৬৯টিতে। অন্যরা এগিয়ে রয়েছে ৫৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতে।

Previous articleদোনলা বন্দুক, রাইফেল উদ্ধার মালদায়, ধৃত ১
Next articleBreaking: ইস্তফার পদ্ধতি ভুল, বিধায়ক থাকছেন শুভেন্দু