Wednesday, December 17, 2025

মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগেই আসানসোল পুর প্রশাসকের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন জিতেন্দ্র

Date:

Share post:

প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর (Subhendu Adhikary) পথেই হাঁটলেন আসানসোলের পুর প্রশাসকব জিতেন্দ্র তিওয়ারি ((Jitendra Tiwary)। আজ, বৃহস্পতিবার আসানসোলের পুর প্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন জিতেন্দ্র। আসানসোল পুরকর্মীদের নিয়ে একটি সভায় প্রকাশ্যে এমনটাই ঘোষণা করেন তিনি। একইসঙ্গে জিতেন্দ্র পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) ও দফতরের সচিবকে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন বলেই জানা যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে, তৃণমূলের সমস্ত পদ থেকেও পদত্যাগ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন জিতেন্দ্র।

সম্প্রতি, আসানসোলের স্মার্ট সিটি প্রকল্পের অনুদান থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ তুলে দলের এক হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। কিন্তু হঠাৎ করে যে এভাবে ইস্তফা দিয়ে দেবেন, সেটা বোঝা যায়নি। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী নিজে তাঁর অভিমান ভাঙানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ও দিয়েছিলেন। সেইদিন পর্যন্ত অপেক্ষা না করেই এমন পদক্ষেপে বিস্মিত অনেকেই।

এদিন সকালেও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে জিতেন্দ্র বলেছিলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে যাব। ওঁকে দেখে দল করা। আমি যে সমস্যা অনুভব করেছি, সেটা জানাব। তারপর যদি সমাধান হয়, ভাল। অন্তত এটুকু বলতে পারব, আমি মনের কথা খুলে বলতে পেরেছি। আমি ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে যাব।”

তিনি আরও বলেছিলেন, “বিধানসভা ভোটে খুব সহজে আবার তৃণমূল জিততে পারত। কেউ কেউ অযথা জটিল করে দিলেন। এঁরাই দল শেষ করে দেবেন।”

তবে জিতেন্দ্রর কথায় কোথায় যেন একটা অন্য ইঙ্গিত ছিল। সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে বৈঠকের প্রসঙ্গে জিতেন্দ্র বলেন, “বুধবার রাতে দেড় ঘণ্টা বৈঠক হয়। শুভেন্দুর সঙ্গে বসলেই কথা লম্বা হয়ে যায়। দল রাখলে থাকব। না থাকলে আমি তো ঘরে বসে থাকব না, অসুস্থ হয়ে পড়ব। মানুষের কাজ করতে গিয়ে যা করণীয় তাই করব।”

ঘটনার সূত্রপাত কিছুদিন আগে। কেন্দ্রের টাকা না নেওয়া নিয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে চিঠি দেওয়া ঘিরে জিতেন্দ্রর ইস্তফার জল্পনা শুরু হয়। তার পর তাঁর ক্ষোভ মেটাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ থেকে ফোনে কথাও বলেন। কিন্তু দলনেত্রীর ফোনেও যে কাজ হয়নি, এ দিন জিতেন্দ্রর ঘোষণাতেই তা স্পষ্ট।

ফিরহাদকে লেখা ওই চিঠিতে কেন্দ্রের স্মার্ট সিটি প্রকল্পে ২০০০ কোটি টাকা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন জিতেন্দ্র। এ ছাড়া কঠিন বর্জ নিষ্কাষণ প্রকল্পেও ১৫০০ কোটি না নেওয়ায় রাজ্য নেতৃত্বের উপর ক্ষোভ উগড়ে দেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র। রাজনৈতিক কারণেই ওই টাকা নেওয়া হয়নি এবং তার জন্য আসানসোলের উন্নয়নের ক্ষতি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন চিঠিতে।

আরও পড়ুন:১৫ দিনের মাথায় ফের যুগলের ঝুলন্ত দেহ মিলল মালদায়

এরপর আসানসোলের প্রশাসকের চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর জিতেন্দ্রর বিধায়ক পদ ছাড়া নিয়েও শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।

 

spot_img

Related articles

যুবভারতীর বিশৃঙ্খলা-কাণ্ডে শোকজের জবাব জমা তিন শীর্ষ কর্তার

যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলার ঘটনায় শোকজের জবাব জমা দিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, ক্রীড়া...

যোগী রাজ্যে বাতিল ম্যাচ, সমালোচনার মুখে বিসিসিআই

প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে লখনউতে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা (India and South Africa )চতুর্থ টি২০ ম্যাচ ভেস্তে গেল।  গোটা...

বন্ধ থাকবে বিদ্যাসাগর সেতু, কোন রুটে হবে কলকাতা ম্যারাথন? জানুন বিস্তারিত

আগামী ২১ ডিসেম্বর টাটা স্টীল কলকাতা ম্যারাথন(25K Kolkata)। তার  আগে বুধবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে ম্যারাথনের রুট ঘোষণা হল। ...

জিটিএ শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের রায় ঘিরে পাহাড়ে স্কুল ধর্মঘটের ডাক

কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল দার্জিলিং পাহাড়ের শিক্ষা পরিস্থিতি। জিটিএ অঞ্চলে ৩১৩ জন শিক্ষক...