“সিদ্দিকি-ফারুকি-আব্বাসিরা বাংলার মাটি চেনে না”, পরোক্ষে মিমকে কটাক্ষ সিদ্দিকুল্লার

শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সঙ্গে থাকার বার্তা দিয়ে তৃণমূল থেকে পদত্যাগ করেছেন কবিরুল ইসলাম। যিনি শাসক দলের সংখ্যালঘু সেলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কাছে ইতিমধ্যে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েও দিয়েছেন কবিরুল। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সংখ্যালঘু সেলের (Minority Cell) চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী (Sidhikulla Chowdhury) কটাক্ষ করে বলেন, “এসব মিডিয়ায় প্রচার পাওয়ার জন্য। কে বলদ, কার সিং আছে সেটা কেউ জানে না। খবরে আসতে পারলেই হলো। কে কেমন মানুষ, কার কী চরিত্র সেটা মিডিয়া দেখে না। এসব মাইলেজ পাওয়ার চেষ্টা। তৃণমূল সংখ্যালঘু সেল শক্ত জায়গায় আছে শক্ত জায়গায় থাকবে। কে গেল না গেল, তাতে কোনও প্রভাব পড়বে না। একটা গাছ থেকে পাঁচটা পাতা ঝরে গেলে গাছটা মরে যায় না। যারা যাচ্ছে তারা পরে বুঝবে নিজেদের ভুলটা।”

তবে একইসঙ্গে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী জানিয়েছেন, কারও কোনও সমস্যা যদি থাকে তাহলে সে এসে সঙ্গে কথা বলতে পারেন। সপ্তাহে তিনদিন তৃণমূল ভবনে সংখ্যালঘু সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত যাঁরা আছেন, তাঁদের সঙ্গে দেখা করে সমস্যার কথা জানা যেতে পারে। সংখ্যালঘু সেল চায় না কেউ দল থেকে বেরিয়ে যাক।

মিম (AIMIM) কি বাংলার ভোটে কোন প্রভাব ফেলতে পারবে? এখানেও কটাক্ষের সুর সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর গলায়। তিনি বলেন, “মিম আরবির একটি শব্দ। আরবিতে ৪০টি শব্দ আছে। একা মিম এসে কী করবে? কে সিদ্দিকি, কে ফারুকি, কে আব্বাসি জানি না। বাংলার জন্য আমরাই যথেষ্ট। আমরা মাটিতে নেমে কাজ করি। লড়াইয়ের ময়দানে আসুক তখন বুঝতে পারবে। বাংলার জন্য আমরাই যথেষ্ট। সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বাংলার অতি পরিচিত একটি মুখ।”

আরও পড়ুন- জয় নিশ্চিত! আশঙ্কিত না হয়ে উন্নয়নের বার্তা নিয়ে ভোটে ঝাঁপানোর নির্দেশ মমতার

Previous articleজয় নিশ্চিত! আশঙ্কিত না হয়ে উন্নয়নের বার্তা নিয়ে ভোটে ঝাঁপানোর নির্দেশ মমতার
Next articleপাঁচবার হাজিরা এড়িয়ে আদালতে উপস্থিত ছত্রধর