৪০০ বছর পর ‘এক’ হতে চলেছে বৃহস্পতি ও শনি

আজ এক মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী থাকতে চলেছেন বিশ্ববাসী। কাছাকাছি আসতে চলেছে বৃহস্পতি ও শনি। প্রায় ৪০০ বছর পর হতে চলেছে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। বৃহস্পতি ও শনি এতটা কাছাকাছি শেষবার এসেছিল ১৬২৩ সালে। ২১ ডিসেম্বর বছরের সব থেকে ছোট দিন, দীর্ঘতম রাত।

এই মহাজাগতিক ঘটনা নাম ‘গ্রেট কনজাংশন’। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, আজ দুই গ্রহ অবস্থান করবে ০.১ ডিগ্রি কৌণিক দূরত্বে। এর ফলে সূর্যাস্তের পর পৃথিবী থেকে দু’টি গ্রহকেই দেখা যাবে একই আকারের। এ বারের এই গ্রহসংযোগের যা সময় (সন্ধে ৬টা থেকে ৬টা ৪৫ মিনিট) তার নিরিখে সাধারণত উত্তর গোলার্ধের বিষুবরেখা-অঞ্চলের সন্নিকটস্থ এলাকা থেকেই এই সংযোগ ভালো দেখা যাবে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, পাশাপাশি থাকলেও সৌরমণ্ডলের সবচেয়ে বড় দু’টি গ্রহের এত কাছাকাছি আসা দুর্লভ ঘটনা।

খালি চোখে দেখা সম্ভব না হলে দূরবিন বা টেলিস্কোপ ব্যবহার করাও যেতে পারে। আজকের পরে তা আবার ঘটবে ২০৪০ সালের নভেম্বর মাসে, ২০৬০ সালের এপ্রিল মাসে, ২০৮০ সালের মার্চ মাসে। এর মধ্যে ২০৮০ সালের সংযোগটি হবে সব চেয়ে কম দূরত্বের, মানে এ বারের মতো ওই বছরেও শনি-বৃহস্পতি আবার পরস্পরের অত্যন্ত কাছাকাছি আসবে। জ্যোতির্বিজ্ঞানের অঙ্ক বলছে, বৃহস্পতি শনির কাছাকাছি আসে ১৯ বছর ৭ মাস পর। তবে এতটা কাছাকাছি শেষবার এসেছিল ১৬২৩ সালে। ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানের অধ্যাপক ডেভিড ভেন্ট্রব বলেন, সাধারণত এই ধরনের ঘটনা কোনও মানুষের জীবনে একবারই ঘটতে পারে।

দক্ষিণ-পশ্চিম আকাশে প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে এই মহাজাগতিক দৃশ্য দেখা যাবে। গ্রেট কনজাংশন দেখার সুযোগ সহজে পাওয়া যায় না।

আরও পড়ুন-মরুরাজ্যে ৩৬ টি পুরপ্রধান পদে জয়ী কংগ্রেস, বিজেপি মাত্র ১২

Previous articleশুভেন্দুর ইস্তফাপত্র গৃহীত: অধ্যক্ষ
Next articleসুজাতা-সৌমিত্র: দলবদল গড়াল ডিভোর্স নোটিশে