নিজের দমে মুখ্যমন্ত্রী হননি মমতা: নেত্রীকে বেনজির আক্রমণ শুভেন্দুর

বিজেপিতে যোগ দিয়ে প্রথম জনসভা। আর তাতেই আগাগোড়া সদ্য ছেড়ে আসা দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Subhendu Adhikari)। এমনকী, বেনোজির আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেত্রীকেও। মঙ্গলবার, পূর্বস্থলীতে বিজেপির(Bjp) সভায় মূল বক্তা ছিলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। শুভেন্দু অধিকারীর নাম তালিকা কোথাও ছিল না। কিন্তু সভা শুরু হতেই মঞ্চে বলতে ওঠেন শুভেন্দু। এ বিষয়ে পরে অবশ্য ব্যাখ্যা করেন তিনি। তবে এদিন শুরু থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে লাগাতার আক্রমণ চালান বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু।

তাঁর আক্রমণের নিশানায় ছিলেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Benarjee)। শুভেন্দুর মতে, “নিজের দমে মুখ্যমন্ত্রী হননি মমতা”। তিনি বলেন, নন্দীগ্রামে মানুষের শবের উপর দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। সেই সময় বিজেপি তাঁকে পরোক্ষভাবে সাহায্য করেছিল বলেও দাবি করেন শুভেন্দু। একইসঙ্গে তিনি বলেন, যে কংগ্রেস ছেড়ে মমতা আলাদা দল করেছিলেন ভোটে জিততে সেই কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে ছিলেন তৃণমূল নেত্রী।

শুভেন্দুর দাবি, বিজেপির আশ্রয় না পেলে 1998 সালের পরে তৃণমূল উঠে যেত। শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে রাজ্যের শাসকদল। অমিত শাহ চেপে ধরতেই গরু পাচার, কয়লা পাচার বন্ধ হয়েছে। এবার ক্ষমতায় এলে কিডনি পাচার হবে বলেও কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপরেই সুর চড়িয়ে বলেন, “পরিবর্তনের আর একটা পরিবর্তন চাই”।

বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজ্যে শিল্প, চাকরি, কেন্দ্রীয় প্রকল্প- সব আসবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন শুভেন্দু। একইসঙ্গে তিনি বলেন, এই সভায় তাঁর যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনেক দেরিতে হয়েছে ফলে কোথাও তাঁর নাম ছিল না। তবে তাঁর নামের বা পদের দরকার নেই। তৃণমূলকে হটাতে তিনি 24 ঘণ্টার মধ্যে 16 ঘণ্টা কাজ করবেন বলে ভাষণে বলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “সব পথেই বিজেপিতে এসেছি কিন্তু নৈতিকতা বিসর্জন দেইনি”। তবে বক্তব্যের শেষে জয়হিন্দ-বন্দে মাতরম্ বলেন শুভেন্দু; ছিল জয় শ্রীরাম ধ্বনিও।

 

Previous articleডিভোর্সের নোটিস নিয়ে সৌমিত্রকে তুলোধোনা করলেন সুজাতা
Next articleদ্বিতীয় টেস্টে অনিশ্চিত ওয়ার্নার