গেরুয়া নীতি-আদর্শ বা কর্মসূচি নয়, দাঁতনে ব্যক্তিগত আক্রোশ মেটানোর ভাষণ শুভেন্দুর

জল্পনা ছিলো চরমে৷ শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দাঁতনের মঞ্চ থেকে তৃণমূলকে (TMC) কী বার্তা দেন, রাজনৈতিক মহলের নজর ছিলো সেদিকেই৷

কিন্তু রাজনৈতিক কোনও কথাই কার্যত বললেন না সদ্য দলত্যাগী শুভেন্দু ৷ গোটা ভাষণের সিংহভাগজুড়েই ছিলো ব্যক্তিগত ‘আক্রোশ’ মেটানোর বার্তা৷ এই ধরনের ভাষণে দলের লাভ কতখানি হলো, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে বিজেপির (BJP) অন্দরে৷

এদিন পদযাত্রা শেষ করে সংক্ষিপ্ত এক ভাষণে শুভেন্দু বলেন,

◾এতগুলো বছর ধরে সরকার চলেছে দেড়জনের উপর নির্ভর করে। কলকাতার ৩, ৪ জনের হাতে দল এবং সমস্ত মন্ত্রীর রাশ।

◾দেড়জনে সরকার চালায়, আমি ল্যাম্পপোস্ট ছিলাম৷

◾এতদিন এসব কথা বলিনি একটাই কারনে৷ যখন বললে তৃণমূলকে তাড়ানো যাবে, তখন বলছি৷

◾আমাকে টাইট দিতে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে সৌমিত্র খাঁনকে বসানো হলো৷ আসলে ভাইপোকে ওই পদে বসাতেই এই চক্রান্ত হয়েছিলো৷

◾বিজেপির ডায়মণ্ড হারবারের মণ্ডল নেতাদের অনুরোধ করছি, ওখানে সভা করুন, আমাকে ডাকুন৷ আমি সভা করবো৷ আমাকে ভয় দেখানো যাবে না৷

◾ডায়মণ্ড হারবারে লোকসভা ভোটের ফল কীভাবে এমন হলো সবাই জানেন৷

◾দক্ষিণ কলকাতার কয়েকজন সব ক্ষমতা ভোগ করছেন উত্তর কলকাতা বা হাওড়াও বঞ্চিত৷ আমরা কি বাণের জলে ভেসে এসেছিলাম? এবার লড়াই হবে শহরের সঙ্গে গ্রামের৷

◾২০১৫ থেকে ভোট এলেই শঙ্করপুর গভীর সমুদ্র বন্দরের কথা তোলা হয়৷

এদিন দাঁতনে শুভেন্দু অধিকারীর পদযাত্রা শেষে সভা করেন। স্থানীয় কালীচণ্ডী পেট্রল পাম্প থেকে পদযাত্রা করে সভাস্থলের দিকে যান শুভেন্দু। জনসভাটি হয় দাঁতনের সরাইবাজার বাসস্ট্যান্ডে।

আরও পড়ুন- JDU সর্বভারতীয় সভাপতির পদ ছাড়লেন নীতীশকুমার

Previous articleJDU সর্বভারতীয় সভাপতির পদ ছাড়লেন নীতীশকুমার
Next articleকেন সৌরভ-রাজ্যপাল দীর্ঘ বৈঠক? জল্পনার পারদ উস্কে লুকিয়ে ছাড়লেন রাজভবন