দিল্লিতে বসেও ভোটে জেতাতে পারেন, তাই তিনিই পাহাড়ের শেষ কথা, দাবি বিমল গুরুংয়ের

কিশোর সাহা

“এতদিন কেউ নিজেকে হিল মিনিস্টার বলে দাবি করলেও পাহাড়ের মানুষ তাঁর ডাকে গত দুটি ভোটে এতটুকুও সাড়া দেননি।” রবিবার কার্শিয়াঙের (Karshiyong) সিটংয়ে দলের সমষ্টি কমিটির এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাম না করে এভাবেই বিনয় তামাংকে Binay Tamang বিঁধলেন বিমল গুরুং Bimal Gurung। তিনি বলেন, “কেউ নিজেকে হিল মিনিস্টার বলে জাহির করলেও দার্জিলিং পাহাড়ের মানুষ কাকে নেতা বলে এখনও মানেন, তা গত সাড়ে তিন বছরের মধ্যে দু-দুটি ভোটের ফলেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।”

আরও পড়ুন – বিকেলে সমালোচনা, সন্ধ্যায় বিনয়-অনীতদের একসাথে চলার ডাক দিলেন বিমল

শুধু এতেই থেমে থাকেননি গুরুং। বিনয়ের নাম না করেই বলেন, “হিল মিনিস্টার Hill Minister তো বিধানসভার উপনির্বাচনে ৫৬ হাজার ভোটে হেরেছেন। এবং তার আগে লোকসভা ভোটে তাঁদের প্রার্থী সিনিয়র নেতা অমর রাইকে সাড়ে ৪ লক্ষ ভোটে হারতে হয়েছে। আর আমি দিল্লিতে বসে থেকে যে আহ্বান করেছি তাতে সাড়া দিয়ে দার্জিলিং পাহাড় Darjeeling, তরাই, ডুয়ার্স Tarai Duaars আমাদের প্রার্থীদের জিতিয়েছে।” গত সাড়ে তিন বছরে সরকারি বরাদ্দ ১৭০০ কোটি টাকায় জিটিএ-র কতটা কাজ হয়েছে আর কতটা আত্মসাৎ হয়েছে তা পাহাড়ের মানুষ জানেন ও বোঝেন বলেও দাবি বিমল গুরুংয়ের।

গত ১২ বছর ধরে কয়েক দফায় বিজেপিকে ভোটে জেতালেও তাঁদের দাবি-দাওয়া পূরণের কাজ এগোয়নি বলে অভিযোগ করেন বিমল গুরুং। আগামী বিধানসভা ভোটে Bidhansabha Election তৃণমূলের Tmc সঙ্গে জোট করে পাহাড়ের তিনটি আসন তো বটেই, তার সঙ্গে তরাই ও ডুয়ার্সের বিস্তীর্ণ এলাকায় বিজেপিকে পর্যুদস্ত করা হবে বলে এদিন ফের হুঙ্কার দিয়েছেন গুরুং।

এদিন সিটংয়ে গুরুংয়ের সভাতেও ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিন বিমল অনুগামীরাও অভিযোগ করেন, ২০১৭ সালে এই সিটংয়ে বসেই বিনয় তামাং ও অনীত থাপারা পাহাড়ের গোর্খাল্যান্ডের দাবির আন্দোলনকে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। যদিও, সেই কাজে সফল হননি তাঁরা। সেই আন্দোলন ফের জোরদার হয়েছে গুরুং ফিরে আসায়।

Previous articleএকনজরে আজকের সোনা রুপোর দাম
Next articleব্রেকফাস্ট স্পোর্টস