যা করেছি মুকুল রায়ের কথায়, ওঁকে বিশ্বাস করে: সুদীপ্ত সেন

” আমি পালাতে চাইনি। আমি ফেরার আসামী নই। আমি যা করেছি সব মুকুল রায় (mukul roy) আর তাঁর দুই সহযোগীর কথায়। আমাকে বলা হয়েছিল ঐরকম একটি চিঠি লিখে কলকাতা থেকে কয়েকটা দিন দূরে থাকতে। আমি সেটা মেনে ভুল করেছি। পরে বুঝেছি আমাকে ফাঁদে ফেলা হল। মুকুল রায় সারদার সাম্রাজ্য আলকেমিস্টের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিলেন। সেই সঙ্গে দুএকজনের ক্ষতি করতে। আমি সেসময় আমার সংস্থার সিনিয়রদের সঙ্গে কথা না বলে ওঁকে বিশ্বাস করে এতবড় বিপদে পড়লাম।”

বয়ান দিয়েছেন Saradha কর্তা Sudipta Sen. প্রেসিডেন্সি জেল থেকে সি এম এম আদালতে তাঁর লিখিত বিবৃতিতে।

সুদীপ্ত লিখেছেন কেন, কীভাবে এবং কারা সারদাকে আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত করেছে। তিনি তাঁর কোম্পানির বহু কর্মী ও এজেন্টের নাম লিখেছেন। পাশাপাশি তিনি কিছু ব্যবসায়ী এবং রাজনৈতিক নেতার নামও লিখেছেন। কাকে কত টাকা দিয়েছেন, তার উল্লেখ রেখেছেন।

তাঁর 2013 সালের চিঠিটি কেন আসল কথা নয় এবং কীভাবে তাঁকে লিখতে বাধ্য করা হয়েছিল, তার সবিস্তার লিখেছেন সুদীপ্ত। এখন জেলে বসে দেখছেন বহু সুবিধে নেওয়া ষড়যন্ত্রীরা তদন্ত এড়িয়ে বড় বড় কথা বলছে। সেই বিরক্তি থেকে এই “tell all” চিঠি বলে তিনি জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন:অবশেষে ট্যাবের টাকা মিলবে মাদ্রাসা পড়ুয়াদের

সুদীপ্ত এই চিঠি লিখেছেন রাষ্ট্রপতি, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি, প্রধানমন্ত্রী, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, সিবিআই ডিরেক্টর এবং সি এম এম কলকাতাকে। এর মধ্যে সি এম এম এজলাস থেকে চিঠির সার্টিফায়েড কপিটি তুলে নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্তের দাবি তুলেছেন প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ।

সুদীপ্ত সেনের নিজের হাতে ইংরেজিতে লেখা 21 পাতার চিঠিটি 19/12/2020 তারিখের। জেলের প্রিজনার্স পিটিশন ফর্মে লেখা চিঠি। এর ছত্রে ছত্রে রয়েছে বিস্ফোরক তথ্য ও অভিযোগ। সি এম এম কলকাতা এই চিঠিটি RC 06/14 মামলার রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। সরাসরি বিচারককে দেওয়া সারদা মামলার মূল অভিযুক্তের বয়ানের গুরুত্ব অপরিসীম বলে আইনজীবী মহলের পর্যবেক্ষণ। মুকুল রায় শিবির এইসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।