‘এক শ্রেণীর নেতারা কর্মীদের চাকর-বাকর ভাবেন’, ফের বিস্ফোরক রাজীব

দলের বিরুদ্ধে এর আগে একাধিকবার সরব হতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের বনমন্ত্রী তথা তৃণমূল(TMC) নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Rajiv Banerjee)। তবে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে একের পর এক বৈঠকের শেষে রাজীবের ক্ষোভ কিছুটা প্রশমিত হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছিল। এরই মাঝে আরও একবার ফের বেসুরো হয়ে উঠলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি এক বৈঠকে তিনি জানালেন, ‘দলের এমন কিছু নেতা রয়েছেন যারা কর্মীদের নাম ভাঙিয়ে খান।’

রবিবার হাওড়া বালিতে একটি রক্তদান শিবিরের(blood donation camp) অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ডোমজুরের বিধায়ক(MLA) রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই দলের একশ্রেণীর নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে রাজীব বলেন, ‘কর্মীরাই দলের সম্পদ। দলের কিছু নেতা আছে, যাঁরা কর্মীদের নাম ভাঙিয়ে খায়।’এরপরই তার হুঁশিয়ারি, ‘যাঁরা কর্মীদের চাকর-বাকর ভাবেন, ভাবাবেগ নিয়ে খেলেন, কর্মীরাই তাঁদের জবাব দেবেন। কর্মীরাই ওইসব নেতাদের ক্ষমতাচ্যুত করবেন।’

তবে এখানেই থামেননি রাজীব। নাম না করে দলের বেশকিছু শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি আরও বলেন, ‘বাজারে এরকম নেতাও বেরিয়েছে। যাঁরা ভাবেন, সময় এলে কর্মীদের ব্যবহার করবে, সুবিধা নেবে। কর্মীরা কিছু চায় না, শুধু সম্মান চায়। এরা সেটুকু সম্মানও দেয় না। যারা বেশি নীতি আদর্শের কথা বলেন, তারাই জানে না নীতি-আদর্শ কী।’ তার কথায়, ‘যেসব নেতারা কাঁচের ঘরে বসে অন্যের ঘরে ঢিল ছোঁড়েন, তাঁদের আগে আয়না নিজের মুখ দেখা উচিত। পিছনে ফিরে দেখা উচিত, নিজের কী অস্তিত্ব ছিল। আমি বলে যাচ্ছি, এইসব নেতাদের ২০২১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারবেন না। এদের বিরুদ্ধে সকলে মিলে গর্জে উঠতে হবে।’ রাজ্যে বন মন্ত্রীর এহেন মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে উঠেছে। আর এই মন্তব্যকে ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

আরও পড়ুন:আলিমুদ্দিনে জোটের বৈঠক, প্রস্তুতি রাহুলকে নিয়ে ব্রিগেডের

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে রাজীবকে বলতে শোনা গিয়েছিল, তিনি স্তাবকতায় বিশ্বাসী নন তার জেরেই তার নম্বর কম। দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারা সামনের সারিতে উঠে এসেছেন। রাজীবের ওই মন্তব্যের পর ব্যাপক জল্পনা ছড়ায় রাজনৈতিক মহলে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যায় যে অনুমান করা হচ্ছিল শুভেন্দু অধিকারীর পথ ধরে এবার বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন রাজীব। এরপর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গে নাকতলা নিজের বাড়িতে বৈঠক করেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই ঘটনার পর তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয় রাজীবের সঙ্গে সমস্যা মিটে গেছে। তবে সমস্যা আদেও মিটেছে কিনা রবিবার তার এই মন্তব্যে নতুন করে উঠছে প্রশ্ন।

Advt

Previous articleআলিমুদ্দিনে জোটের বৈঠক, প্রস্তুতি রাহুলকে নিয়ে ব্রিগেডের
Next article‘গান্ধীজির হত্যাকারীরা তাহলে কোন ধর্মের?’ ভাগবতকে পাল্টা বিঁধলেন ওয়েইসি