দার্জিলিঙে রাজপাট ফের নেব, ঘোষণা বিমল গুরুংয়ের

কিশোর সাহা: ক্রমশ যেন অপ্রতিরোধ্য হযে উঠছেন বিমল গুরুং। অন্তত, রবিবার কার্শিয়াঙে সরকারি ট্যুরিস্ট লজে দলের কর্মীদের সঙ্গে মিটিঙের পরে বিমল গুরুং বলেই দিলেন, যা হওয়ার হয়েছে, আগামী দিনে ভোটে লড়ব অথবা অন্যভাবে কিছু হবে, যাই-ই হোক না কেন দার্জিলিং চালাব আমিই। সে সময়ে পাহাড়ের ছেলেমেয়েদের ১৫০০-২০০০ টাকা রোজ দিয়ে স্রেফ মিটিং-মিছিলে টেনে এনে ভিড় করানোর রাজনীতি করতে দেব না। যাতে প্রকৃত উন্নয়ন হয়, যা আমি সাড়ে বছর ধরে করার চেষ্টা করেছিলাম তার ধারাবিহকতা বজায় রাখব।

শুধু তাই নয়, ২০ ডিসেম্বর পাহাড়ে ফের যাওয়ার পর থেকে তিনি যে এলাকার রাশ হাতে নেওয়ার কাজে নেমেছেন সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন। বিমল গুরুং জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি পাহাড়ে পাতলেবাসে গিয়েই সিংলা ও সিংতাম চা বাগান কেন বন্ধ হয়েছে তা নিয়ে খোঁজ নিয়েছেন। গুরুং জানান, তিনি দুটি বাগানের কর্তৃপক্ষকে ডেকে পাঠিয়ে দ্রুত বাগান খোলাতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন। এর পরেই গুরুং শিলিগুড়ির উপকণ্ঠে কার্শিয়াঙের একটি বাগান বন্ধ হওয়ার ব্যাপারেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। গুরুং বলেন, আমি ওই বাগান মালিকদের প্রতিনিধিদের ডেকে পাঠিয়েছি। যে ভাবেই হোক তাড়াতাড়ি বাগান খোলাতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছি।

আজ, রবিবার রাতেই বিমল গুরুং শিলিগুড়িতে ফেরার কথা। সেটা তিনি নিজেও জানিয়েছেন। কারণ, আগামীকাল, সোমবার শিলিগুড়িতে পৌঁছনোর কথা তৃণমূল যুব রাজ্য সভাপতি তথা ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শিলিগুড়িতে বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে তাঁর দেখা হওয়ার কথা। সব ঠিক থাকলে ওই দিন বিনয় তামাংয়ের সঙ্গেও দেখা হতে পারে অভিষেকবাবুর। যে হেতু বিনয় তামাং শিলিগুড়িতে দাগাপুরের পিনটেল ভিলেজেই রয়েছেন। তেমন হলে উভয় পক্ষকে নিয়েই এক টেবিলে বসতে পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও পিকে জুটি।

আরও পড়ুন:কোভিশিল্ড-কোভ্যাক্সিনকে চূড়ান্ত অনুমোদন DCGI-এর

এদিন বিমল গুরুং পাহাড়ের উন্নয়নের প্রসঙ্গে বিনয় তামাং, অনীত থাপাদের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন। কার্শিয়াঙে অনীত থাপার বাড়ি। সেখানে ট্যুরিস্ট লজে বসে বিমল গুরুং জানান, তিনি ২০১৭ সালে পাহাড় ছেড়ে চলে যাওয়ার পর থেকে যা টাকা এসেছে তাতে দুজন কন্ট্রাক্টর এবং দুজন নেতা ছাড়া কারও কোনও তেমন লাভ হয়নি বলে তিনি শুনেছেন। গুরুং জানান, তিনি যে সব কাজ কার্শিয়াঙের পর্যটন বিকাশের জন্য করেছেন তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখলে কার্শিয়াঙে এত বেকারত্ব বাড়ত না। এর পরেই গুরুং জানিয়ে দেন, আগামী দিনে ভোটে জিতে বা যাই-ই হোক না আমি ফের সত্ত্বায় বসবই, তখন বাকি সব কাজ করার চেষ্টা চালিয়ে যাব।

Advt

Previous articleকোভিশিল্ড-কোভ্যাক্সিনকে চূড়ান্ত অনুমোদন DCGI-এর
Next articleসৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় দ্রুত সুস্থ হবেন, এই কামনায় মহাযজ্ঞ শিলিগুড়িতে