শোভন-বৈশাখীর জন্য “দরজা বন্ধ” বিজেপি রাজ্য দফতরে, খোলা হল নেম-প্লেট

শোভন-বৈশাখী নামাঙ্কিত মিছিলেই গড় হাজির দু’জনে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ফের মুখ পুড়ল বিজেপির (BJP)। শোভন-বৈশাখীকে নিয়ে নতুন করে অস্বস্তি ও বিড়ম্বনায় পরলেন শীর্ষ নেতারা। অন্যদিকে, মিছিলের (Rally) বিরাট প্রচার করার পরেও শোভন-বৈশাখীর গরহাজিরায় সেন্ট্রাল এভিনিউর ৬, মুরলিধর সেন লেনে বিজেপির রাজ্য দফতরে শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee) ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Baishaki Banerjee) জন্য “বন্ধ” হয়ে গেল দরজা। ঘরে ঝোলানো হল তালা। যদিও কে বা কারা তালা ঝুলিয়েছে বা নেম-প্লেট খুলে নিয়েছে, তা নিয়ে দলের পক্ষ থেকে মুখে কুলুপ আঁটা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ভোটের আগে দলের একতা দেখতে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে কলকাতা জোনের পর্যবেক্ষক করা হয়। শোভনের মন রাখতে তাঁর বিশেষ বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দেওয়া হয় সহ- আহবায়ক পদ। যদিও বিজেপির একটা বড় অংশের সম্মতি ছিল না। একইভাবে শোনা যায়, এমন পদ নাকি পছন্দ নয় বৈশাখীদেবীরও। আরও কিছুটা সম্মানীয় পদ নাকি দলের কাছে আশা করেছিলেন তিনি। এবং তাই থেকেই নাকি অভিমান। আর অনেক চেষ্টা করেও নাকি সেই মানভঞ্জন করা যায় নি দলের তরফে। এরপরই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মিছিল থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন বৈশাখী।

মনে করা হয়েছিল, এবার অন্তত বৈশাখীকে ছাড়াই দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেবেন শোভন। কিন্তু না, বান্ধবীকে ছাড়া তিনিও মিছিলে আসেননি। এরপরই যত বিপত্তি। বিজেপির একটা অংশ এভাবে দলকে ডোবানোর জন্য প্রচণ্ড ক্ষোভ উগরে দিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। রাজ্য দফতরে শোভন-বৈশাখীর ঘরে তালা ঝুলিয়ে তাঁদের নেম-প্লেট খুলে দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, বিজেপির রাজ্য অফিসে ওই ঘরটি বরাদ্দ ছিল মুকুল রায়ের (Mukul Roy) জন্য। গত ২৭ ডিসেম্বর কলকাতা জোনের পর্যবেক্ষক হন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর ডেপুটি করা হয় বৈশাখীকে। এরপরই মুরলীধর সেন লেনে মুকুলের ঘরটি দেওয়া হয় তাঁদের। এ দিন ওই ঘরেই ঝুলছে তালা। দরজা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে দু’জনের নেমপ্লেটও। এ দিন মিছিলে শোভন-বৈশাখী (Sovan Chatterjee and Baishaki Banerjee) গরহাজির থাকার পর এই ঘটনা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়েছে জল্পনা।

আরও পড়ুন- ছোট আঙারিয়া দিবসে বাংলাকে ‘তৃণমূল-মুক্ত’ করার ডাক শুভেন্দুর

Advt

Previous articleছোট আঙারিয়া দিবসে বাংলাকে ‘তৃণমূল-মুক্ত’ করার ডাক শুভেন্দুর
Next articleকাঁথি পুরসভা মামলায় হাইকোর্টে প্রাথমিক ধাক্কা সৌমেন্দুর