কাঁথি পুরসভা মামলায় হাইকোর্টে প্রাথমিক ধাক্কা সৌমেন্দুর

কাঁথি পুরসভার পুর প্রশাসকের পদ থেকে তো তাঁকে সরানোর সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন বিজেপি নেতা সৌমেন্দু অধিকারী।

সোমবার এই মামলার প্রথমদিনের শুনানিতেই ধাক্কা খেলেন সৌমেন্দু৷

সৌমেন্দু অধিকারী আদালতে পেশ করা হলফনামায় বলেছেন, কাঁথি পুরসভার পুর প্রশাসকের চেয়ারম্যান পদ থেকে তাঁকে কোনও আইনি কারণ ছাড়াই সরানো হয়েছে। এদিন মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম সিনহা প্রশ্ন তোলেন, পুর- আইন অনুযায়ী যে কোনও নাগরিককেই বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বা পুর প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ করতে পারে রাজ্য সরকার। সৌমেন্দুর হয়ে এদিন সওয়াল করে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, একজন নির্বাচিত কাউন্সলিরকে সরিয়ে যাঁকে ওই পদে বসানো হয়েছে তিনি নির্বাচিত কাউন্সিলর নন। এক্ষেত্রে কোনও প্রশাসনিক কারণ আছে কিনা সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। বিচারপতি রাজ্যের কাছে তখন জানতে চান, তাহলে কে এই জায়গায় বসতে পারেন? আইনে তার কি সংজ্ঞা কি? তাঁকে কি নির্বাচিত হতে হবে?

উত্তরে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত রাজ্যের তরফে সওয়াল করে বলেন, পুর আইন বলছে, প্রশাসক বসানোর ক্ষমতা রাজ্য সরকারের আছে। উদাহরণস্বরূপ হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের বেশ কিছু রায়ও উল্লেখ ধরেন তিনি। সৌমেন্দুর তরফে আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য এদিন ডিভিশন বেঞ্চে অতিরিক্ত একটি হলফনামাও দাখিল করেন। মঙ্গলবার দুপুর দুটো নাগাদ ফের এই মামলার শুনানি হবে।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৯ মে রাজ্য সরকার কাঁথি পুরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয় সৌমেন্দু অধিকারীকে। ৩০ ডিসেম্বরই রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায় তাঁকে ওই পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে। আর ঠিক পরদিনই হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন সৌমেন্দু অধিকারী।

আরও পড়ুন- ছোট আঙারিয়া দিবসে বাংলাকে ‘তৃণমূল-মুক্ত’ করার ডাক শুভেন্দুর

Advt

Previous articleশোভন-বৈশাখীর জন্য “দরজা বন্ধ” বিজেপি রাজ্য দফতরে, খোলা হল নেম-প্লেট
Next articleদু’পক্ষই অনড়, কৃষক-কেন্দ্রের ৭ দফা আলোচনাতেও মিলল না রফাসূত্র