কেন্দ্রের কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্প বাংলায় চালু করতে আপত্তি নেই, জানালেন মমতা

বাংলার কৃষকদের (farmers of Bengal) কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা থেকে বঞ্চিত করছে রাজ্য সরকার। বিধানসভা ভোটের মুখে বিজেপির এই প্রচারকে ভোঁতা করে দিতে এবার উদ্যোগী হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (chief minister mamata banerjee)। জানিয়ে দিলেন, কেন্দ্রের কিষাণ সম্মান নিধি (kishan samman nidhi) প্রকল্প বাংলায় চালু করতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। বরং তিনিও চান, বাংলার কৃষকরা এই প্রকল্পের সমস্ত সুযোগসুবিধা পান। তাঁর মূল বিরোধিতার জায়গা রাজ্যকে উপেক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো লঙ্ঘনের চেষ্টায় কেন্দ্রের ভূমিকাকে ঘিরে।

সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের ‘কিষাণ সম্মান নিধি’ প্রকল্প চালু করার অনুমতি দিচ্ছে রাজ্য সরকার। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, কেন্দ্রীয় সব প্রকল্পই রাজ্যের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়। এটা জানিয়ে আমি কৃষিমন্ত্রীকে ফোন করেছিলাম। কিন্তু ওরা সরাসরি প্রকল্পের টাকা কৃষকদের দেওয়ার কথা বলছে। কেন্দ্র আসলে রাজ্যকে গুরুত্ব দিতে চাইছে না। সেই কারণে সরাসরি সব কিছু করতে চায়। তবে কৃষকরা টাকা পেলেই আমি খুশি।

কেন্দ্রীয় সহায়তা চেয়ে আবেদনকারী কৃষকদের তথ্য রাজ্যের তরফে ভেরিফিকেশন করে দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ তুলেছিল মোদি সরকার। এই অভিযোগ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন জেনেছি কৃষকদের তথ্য নথিভুক্ত করতে কেন্দ্র একটি আলাদা পোর্টাল করেছে। অথচ সেটির তথ্য রাজ্যের কাছে নেই। বারবার প্রচার করা হচ্ছে, রাজ্য কোনও তথ্য ভেরিফাই করছে না। ওদের কাছে বাংলা হয়তো অচ্ছুৎ। কিন্তু আমার কাছে কৃষকরাই সবার আগে। তাই সব জানার পরেও আমি ওদের বলেছি তথ্য পাঠিয়ে দিতে, আমরা ভেরিফাই করে দেব। কৃষকদের নিয়ে কোনও রাজনীতি করতে আমি রাজি নই। রাজ্যের কৃষকরা যদি কেন্দ্রীয় সাহায্য পান তাহলে তাঁর কোনও অসুবিধা নেই বলে এদিন জানান মমতা।

প্রসঙ্গত, বাংলায় ‘কিষাণ সম্মান নিধি’ প্রকল্প চালু করা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চাপানউতোর চলছিল। রাজ্যকে এড়িয়ে কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের মধ্যে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য’ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রকল্পের বদলে ‘কৃষক বন্ধু প্রকল্প’ চালু করে রাজ্য সরকার। উল্টোদিকে, বাংলার কৃষকরা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা না পাওয়ার জন্য কিষাণ দিবসে মমতা সরকারকে দায়ী করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভোটের মুখে এই ইস্যুতে তৃণমূল সরকারকে কৃষক স্বার্থবিরোধী তকমা দিয়ে প্রচার তীব্র করছিল বিজেপি। মমতা এদিন নিজের অবস্থান স্পষ্ট করায় আপাতত গেরুয়া শিবিরের এই অস্ত্র ভোঁতা হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন- দৃষ্টিশক্তির সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে ‘চোখের আলো’র সূচনা মুখ্যমন্ত্রীর

Advt

Previous articleদৃষ্টিশক্তির সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে ‘চোখের আলো’র সূচনা মুখ্যমন্ত্রীর
Next articleরাজ্যে তেল উত্তোলনের জন্য কেন্দ্রকে বিনামূল্যে জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত মমতার