প্রয়াত গুজরাটের ৪ বারের মুখ্যমন্ত্রী মাধব সিং সোলাঙ্কি, শোক প্রকাশ মোদির

জীবন শুরু করেছিলেন সাংবাদিকতা দিয়ে, তারপর রাজনীতি আঙিনায় প্রবেশ করে চারবার বসেছেন গুজরাটের(Gujarat) মুখ্যমন্ত্রী(chief minister) পদে। রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে তার অবাধ বিচরণ ছিল জাতীয় রাজনীতিতেও। শনিবার অবশেষে তাঁর সুদীর্ঘ যাত্রাপথের অবসান ঘটল। ৯৩ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা মাধব সিং সোলাঙ্কি(Madhav Singh Solanki)। শনিবার নিজের বাসভবনে ঘুমের মধ্যে প্রয়াত হন তিনি। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে গুজরাটে। শোক প্রকাশ করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)।

কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, গান্ধীনগরে বরসাদ শহরে নিজের বাসভবনে ঘুমের মধ্যে মৃত্যু হয় সোলাঙ্কির। এই মুহূর্তে সোলাঙ্কির পুত্র প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভারত সিং সোলাঙ্কি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছেন তিনি ফিরলে আজি শেষকৃত্য হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সোলাঙ্কির। কংগ্রেসের বরিষ্ঠ নেতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে টুইট করেছেন রাহুল গান্ধী। লিখেছেন, ‘বর্ষিয়ান কংগ্রেস নেতা সোলাঙ্কির মৃত্যুতে আমি মর্মাহত। কংগ্রেসের মতাদর্শ এবং সামাজিক ন্যায় বিচারকে মজবুত করতে তাঁর অবদান চিরদিন মনে রাখবেন মানুষ।’ টুইট করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি লিখেছেন, ‘সুষ্ঠ সমাজ গঠনে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। রাজনীতির বাইরে একাধিক বিষয় নিয়ে ওঁর সঙ্গে আলোচনা হত। উনি নতুন নতুন বই পড়তে ভালবাসতেন। সে সব বই নিয়ে গভীর আলোচনা হত আমাদের।’ আজ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি।

আরও পড়ুন:রাজ্য সরকারি কর্মীদের চলতি মাস থেকেই বাড়ছে DA

উল্লেখ্য, তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে ১৯৭৬ সালে প্রথমবার গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি। রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত। ৮৮-তে প্ল্যানিং কমিশন এবং ১৯৯১ সালে পিভি নরসীমা রাওয়ের ক্যাবিনেটে বিদেশমন্ত্রী হন সোলাঙ্কি। ফের ১৯৯৪ সালে রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছেন তিনি। ১৯৮৪ সালে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে ১৮২টি আসনে ১৪৯টিতে জয়লাভ করে সোলাঙ্কির নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস। যে রেকর্ড আজও অটুট রয়েছে গুজরাটে। চারবার গুজরাট থেকে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি।

Advt

Previous articleরাজ্য সরকারি কর্মীদের চলতি মাস থেকেই বাড়ছে DA
Next articleযেন কোন স্বামীজি এসেছে! শুভেন্দু-মুকুলকে লক্ষ্য করে কল্যাণের বোমা