যেন কোন স্বামীজি এসেছে! শুভেন্দু-মুকুলকে লক্ষ্য করে কল্যাণের বোমা

বারাকপুরের সভায় শুভেন্দু অধিকারীকে ( Suvendu Adhikari) আক্রমণে ক্ষত-বিক্ষত করলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ( kalyan Banerjee)। গেরুয়া পতাকার ছত্রছায়ায় আসার পর শুভেন্দু এমন আক্রমণের মুখে এই প্রথম।

কী বললেন তৃণমূল সাংসদ? এমনিতেই ঠোঁট কাটা বলে পরিচিত কল্যাণ। তার উপর শনিবারের বিকেলে ছিলেন আক্রমণাত্মক মেজাজে৷ তিনি বলেন, মাঝে মাঝে আমার সঙ্গে দিদির (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) (Mamata Banerjee) ঝগড়া হয়। আমি বলি দিদি যাকে যত বেশি দিয়েছে, সে ততবেশি বিশ্বাসঘাতকতা করছে, ততবড় বিশ্বাসঘাতক হয়েছে। আমি বলছি, আগামিদিনে বাংলার মানুষ সন্তানের নাম শুভেন্দু রাখতে ঘৃণা করবেন।

মঞ্চে তখন বসে উত্তর ২৪ পরগণার দায়িত্বে থাকা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ( Food Monister, Jyotipriya Mallik) তাঁকে দেখিয়ে বলেন, ওরা জানে আমি কোথায় কোন কথা বলি, তার তথ্য থাকে। ২৯ ডিসেম্বর জানলাম, কংসাবতী প্রকল্পের (kangsaboti Project.) অন্যতম ঠিকাদার শুভেন্দুর সঙ্গে বিজেপিতে যাচ্ছে আর যাবার আগে ১৭ কোটি নিয়ে যাচ্ছে, যার কাজই হয়নি। জানার পর আমি লোকজনকে পাঠয়ে আটকে দিলাম টাকা। এখন শুনছি সেই টাকা দেওয়ার ব্যবস্থ চলছে। হয়ে যাওয়ার মুখে৷ ভাবুন, দুর্নীতি কোন শৈল্পিক জায়গায় নিয়ে গিয়েছে। কিন্তু দেখে কে বলবে! সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি। বিবেকানন্দ ভাবখানা। আর ভিতরে ১৭ কোটির আকাঙখা!

আরও পড়ুন : রাজ্য সরকারি কর্মীদের চলতি মাস থেকেই বাড়ছে DA

এরপর কল্যাণের স্বগতোক্তি, আমি মাঝে মাঝে ভাবি যা হয়েছে, ঠিক হয়েছে। এই সব বিশ্বাসঘাতক, তোলাবাজ, চোরের দল চলে যাওয়ায় দলটা পরিশুদ্ধ হয়েছে। বেঁচে গেছে তৃণমূল। এখনও কয়েকটা আছে। ওগুলোও যাক। তাদের কী বড়ো বড়ো ভাষণ! শুনলে মনে হবে, যেন দ্বিতীয় স্বামীজি!

শুভেন্দুকে কার্যত দ্বিচারী আখ্যা দিয়ে ২০১১ সালের ঘটনার কথা বলেন কল্যাণ। বলেন, ভোটে জিতে পিডব্লিউডি মন্ত্রী হন সুব্রত বক্সি। কিন্তু দিদি বললেন, সুব্রত তোমাকে লোকসভায় লড়তে হবে। সুব্রত বললেন, আপনি যা বলবেন। আর একজন সাংসদ হয়ে জিতলেন ২০১৪ সালে। ২০১৬ সালে গুটিগুটি পায়ে বিধানসভা ভোটে দাঁড়ালেন, মন্ত্রীও হলেন। এত লোভ। মন্ত্রী হতে সাংসদ পদ ছাড়ল আর বলে কিনা আমার কোনও লোভ নেই! আমি বলি কি, লোভ নেই তো জুট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান পদ নিলে কেন বাবা!

আরও পড়ুন : ফেক নিউজে নোবেল পাওয়া উচিত! নাম না করে অমিত মালব্যকে কটাক্ষ কাকলির

শুধু শুভেন্দু নয়, আক্রমণ করেন মুকুল রায়কেও। নাম না করে বলেন, একজন আই ডাজ, হি ডু… (I does he do)ইংরেজি বলে। সেই বিদ্যে নিয়ে ভারতবর্ষের ক্যাবিনেটে চলে গেল। সব পাওয়ার দলই আজ বড় বিশ্বাসঘাতক। অন্যদিকে সাংসদ সৌগত রায় (Saugato Roy) জেপি নাড্ডার কৃষকদের থেকে শস্য সংগ্রহকে কটাক্ষ করে বলেন, বুকের পাটা থাকলে দিল্লিতে কৃষকদের সামনে দাঁড়িয়ে অভিযোগ মেটান। এই বাংলায় এসে লাভ হবে না।

Advt

Previous articleপ্রয়াত গুজরাটের ৪ বারের মুখ্যমন্ত্রী মাধব সিং সোলাঙ্কি, শোক প্রকাশ মোদির
Next articleদিল্লিতে বিজেপি নেতার বাড়িতে ধনকড়, তুমুল বিতর্ক রাজনৈতিক মহলে