দলত্যাগীদের বিরুদ্ধে ‘দুমুখো নীতি’ কেন? মমতাকে চিঠি দিয়ে প্রশ্ন বামেদের

জনপ্রতিনিধিদের দলত্যাগের প্রশ্নে রাজ্যের তৃণমূল সরকার ‘দুমুখো নীতি’ নিয়ে চলছে। সম্প্রতি এমনই অভিযোগ তুলে এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিল সিপিএমের(CPIM) পরিষদীয় দল।

নির্বাচনের আগে সম্প্রতি রাজ্যে দলবদলের হিড়িক বড়েছে। শাসক দল তৃণমূল(TMC) ছেড়ে একে একে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বহু বিধায়ক(MLA) ও সাংসদ(MP)। অন্যান্য দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন অনেকেই। সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর সাংসদ সুনীল মণ্ডলের(Sunil Mondal) বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু রাজ্যে যে সমস্ত বিধায়ক বিরোধী দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সম্প্রতি এই বিষয়ে রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ দাবি করে তাকেও চিঠি দিয়েছেন বামপন্থী নেতা সুজন চক্রবর্তীর।

আরও পড়ুন:“আপনার থেকে কোনও মানুষ, কোনও ঈশ্বর বড় নয়” স্বামীজিকে স্মরণ করে টুইট কঙ্গনার

সাম্প্রতিক চিঠিতে তিনি মালদহের গাজলের বিধায়ক দীপালি বিশ্বাসের কথা তুলে ধরে লিখেছেন, সিপিএমের প্রতীকে নির্বাচিত হয়ে আসার কয়েক মাসের মধ্যেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন দিপালী। তাঁর বিধায়ক-পদ খারিজের জন্য আবেদন করার পরে প্রায় সাড়ে চার বছর পেরিয়ে গেলেও বিচার প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি। এবার অবশ্য তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এখন কি সরকার ব্যবস্থা নেবে প্রশ্ন তোলা হয়েছে চিঠিতে।বামেদের তরফে স্পষ্ট অভিযোগ জানানো হয়েছে রাজ্য বিধানসভায় এতদিন ধরে দলত্যাগ রীতিমত প্রশ্রয় পেয়েছেন। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে দেখেছে তাদের ক্ষেত্রেও চিঠি দেওয়া হয়নি শাসক দলের তরফে তবে সাংসদের ক্ষেত্রে হয়েছে। এই ধরনের দ্বিচারিতার বিরুদ্ধেই এদিন সরব হয়ে চিঠি দিল বাম পরিষদীয় দল। অবশ্য পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘দলত্যাগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দিষ্ট আইন আছে। নিশ্চয়ই সেই আইনেই ব্যবস্থা হবে।’

Advt

Previous article“আপনার থেকে কোনও মানুষ, কোনও ঈশ্বর বড় নয়” স্বামীজিকে স্মরণ করে টুইট কঙ্গনার
Next articleকরোনার টিকা ট্রায়ালের অনুমতি পেল ‘বঙ্গভ্যাক্স’