অপহরণের পর বিয়ের প্রস্তাব! হামাস জঙ্গিদের থেকে মুক্তি পেয়ে বিস্ফোরক ইজরায়েলি তরুণী

বিগত ৭ মাস ধরে হামাস বনাম ইজরায়েল (Israel) যুদ্ধে অশান্ত বিশ্ব। কিন্তু এই রক্তক্ষয়ী সংঘাতের মাঝেও পণবন্দি এক ইজরায়েলি (Israel) তরুণীকে নাকি বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল এক হামাস জঙ্গি (Hamas)। এমনকি তাঁর কাছে চেয়েছিল সন্তানও। ৫০ দিনের বন্দিদশা কাটিয়ে ইজরায়েলে ফিরে সেই অভিজ্ঞতা শোনালেন ওই তরুণী। ইজরায়েলি ওই তরুণীর অভিযোগ, অপহরণের ১৪ দিনের মাথায় তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল এক হামাস জঙ্গি। বলেছিল, সবাইকে মুক্তি দেওয়া হবে। কিন্তু তুমি এখানে আমার সঙ্গে থাকবে আজীবন। তুমিই আমার সন্তানদের মা হবে। এরপরই নোগার আঙুলে একটি আঙটি পড়িয়ে দেন ওই হামাস জঙ্গি। ৫০ দিন ধরে এমনই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে থাকতে হয়েছিল ইজরায়েলি তরুণী নোগা ওয়েইসকে।

তবে মুক্তি পাওয়ার পরে কেটে গিয়েছে বেশ কয়েক মাস। কিন্তু বন্দিদশার সেই স্মৃতি আজও আঠারো বছর বয়সী নোগাকে তাড়া করে বেড়ায়। গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলা চালিয়েছিল হামাস জঙ্গিরা। সেদিন নিজের বাড়িতেই ছিলেন নোগা। ইজরায়েলের কিবুতজের উদ্ধারকারী দলের সদস্য ছিলেন তরুণীর বাবা ইলান। হামলার খবর পাওয়ামাত্র কাজে বেরিয়ে যান তিনি। তারপর আর ফেরেননি। পরে জানা যায়, সেদিনই নোগার বাবা ইলানকে খুন করেছিল হামাস জঙ্গিরা। হোয়াটসঅ্যাপে বাইরের সমস্ত খবর পাচ্ছিলেন নোগা। এরইমধ্যে আচমকা তরুণীর বাড়িতে ঢুকে পড়ে একদল হামাস জঙ্গি। এই পরিস্থিতির জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলেন তরুণীর মা শিরি। পরিকল্পনা অনুযায়ী, মেয়েকে খাটের নীচে লুকিয়ে পড়তে বলেন তিনি।

নোগার কথায়, সেদিন মায়ের কথামতো আমি লুকিয়ে পড়েছিলাম। ঘরের ভিতরে ঢুকেই মাকে বাইরে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। তারপরই গুলির শব্দ শুনতে পাই। ভেবেছিলাম মাকে ওরা শেষ করে দিয়েছে। এরপর মেয়ে নোগার সঙ্গে তাঁকেও গাজায় তুলে নিয়ে যায় হামাস
জঙ্গিরা। অপহরণের সেই অন্ধকার কাহিনি বলতে গিয়ে শিউরে উঠলেন তরুণী। অবশেষে গত ২৫ নভেম্বর তাঁর মা ও নোগাকে মুক্তি দেয় হামাস জঙ্গিরা। তবে মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরলেও সেই পুরনো অভিজ্ঞতাই এখন তাড়া করে বেড়াচ্ছে ইজরায়েলে বছর আঠারোর তরুণীকে।

Previous articleপুলিশকর্মীকে ‘খালিস্তানি’ আক্রমণেও নীরব কেন? বিজেপি প্রার্থীকে মোক্ষম খোঁচা মমতার
Next articleশীতলকুচিকাণ্ডের যোগ্য জবাব পেয়েছেন: দেবাশিস ধরকে তোপ অভিষেকের