বিবেক যাত্রায় বিজেপিকে ১০ গোল তৃণমূলের, ২৪ ঘন্টার নোটিশে বাজিমাত অভিষেকের

বিজেপিকে (BJP) দাঁড় করিয়ে ১০ গোল দিলেন তৃণমূল (TMC) যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Avishek Banerjee) অন্যদিকে, খেলা শুরুর আগেই মাঠ ছাড়লেন সদ্য গেরুয়া বসনধারী শুভেন্দু অধিকারী (Subhendu Adhikary)। স্বামী বিবেকানন্দের (Swami Vivekananda)
জন্মবার্ষিকী (Birth Anugerah) উপলক্ষ্যে রাজ্যের যুযুধান দুই রাজনৈতিক দল শহরের দুই প্রান্তে পদযাত্রা কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল। স্বামীজিকে সামনে রেখে পদযাত্রায় “টক্কর” ছিল তৃণমূল ও বিজেপির (BJP)।

সকালে উত্তর কলকাতার শ্যামবাজার ক্রসিং থেকে সিমলা স্ট্রীট পর্যন্ত স্বামীজীর স্মরণে পদযাত্রা করেছে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব। অপরদিকে, দুপুরে দক্ষিণ কলকাতার গোলপার্ক থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত বর্ণাঢ্য পদযাত্রা করে তৃণমূল। যার নেতৃত্বে ছিলেন অভিষেক। ভিড়ের নিরিখে গেরুয়া শিবিরের থেকে তৃণমূলের পদযাত্রার পার্থক্যটা উনিশ-বিশ নয়, একেবারে আকাশ আর পাতালের। অভিষেকের পদযাত্রা কার্যত জনপ্লাবনের রূপ নেয়। মিছিলের মুখ যখন রাজবিহারী, তখন তার লেজ গোলপার্ক ছাড়ায়নি। স্বামীজীর স্মরণে অভিষেকের এই পদযাত্রায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থক থেকে কাতারে কাতারে সাধারণ মানুষ পা মিলিয়েছেন। রাস্তার দুধারে উৎসাহী মানুষ দু-হাত তুলে আশীর্বাদ করেন অভিষেককে। সব মিলিয়ে দিনের শেষে বাজিমাত করলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।

যদিও এদিনের কর্মসূচিকে একেবারেই রাজনৈতিক রঙ লাগাতে নারাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, রাজনীতি করার অনেক সময় আছে, কিন্তু আজকের দিনটি শুধুই স্বামীজীকে স্মরণ করার। তবে নরেন্দ্র মোদি থেকে দিলীপ ঘোষ কিংবা তাঁদের দল বিজেপি যেভাবে বিবেকানন্দের ছবিকে সামনে রেখে রাজনীতি করেন এদিন তার তীব্র নিন্দা করেন তৃণমূল যুব সভাপতি।

অভিষেকের বিশাল পদযাত্রার পর রাজনৈতিক মহলের জোরচর্চা, শুভেন্দুর বিজেপির পথযাত্রায় যোগ না দেওয়া নিয়ে। অনেকেরই বক্তব্য, শুভেন্দু বুঝতে পেরেছিলেন জনপ্রিয়তা এবং ভিড়ের নিরিখে এদিন অন্তত অভিষেককে টেক্কা দিতে পারবেন না তিনি। তাই বিজেপির পদযাত্রায় মুখ্য মুখ হওয়ার কথা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত মিছিলে হাঁটেননি শুভেন্দু। সকাল সকাল স্বামীজীর বাড়িতে গিয়ে তাঁর মূর্তিতে মাল্যদান করেই কলকাতার কর্মসূচিতে ইতি টেনেছেন তিনি।

অন্যদিকে, মাত্র চব্বিশ ঘণ্টার নোটিশে হাজার হাজার সমর্থক নিয়ে হাঁটলেন অভিষেক। গোলপার্ক থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার পথ এদিন ছিল তৃণমূলের দখলে। শুধুই ছিল কালো মাথার ভিড়। অভিষেকের সঙ্গে এদিন মিছিলে পা মেলান তৃণমূলের যুব সহ-সভাপতি অভিনেতা সোহম, রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃনাঙ্কুর ভট্টাচার্য, জয়া দত্ত, বৈশ্বনর চট্টোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, দেবাশীষ কুমার, রত্না চট্টোপাধ্যায় প্রমূখ। তবে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, এদিনের পদযাত্রায় নতুন প্রজন্মের যোগদান ছিল চোখে পড়ার মতো। স্বামীজি যুব সমাজের আইকন, যুব সমাজের আদর্শ, ফলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবেক স্মরণে যুবক-যুবতীদের যোগদান পদযাত্রায় আলাদা মাত্রা ও ঐতিহ্য বহন করল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।