Thursday, December 25, 2025

‘আয়ুষ্মান’ নয়, ‘স্বাস্থ্যসাথী’-তেই আস্থা দিলীপ ঘোষের পরিবারের

Date:

Share post:

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘স্বাস্থ্যসাথী’-তেই আস্থা প্রদর্শন করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতিদিলীপ ঘোষের পরিবার৷

মমতার (Mamata banerjee) এই উদ্যোগ যে দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে, তা আরও একবার সামনে এসেছে৷ বাংলায় ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পের (swasthasathi) বড় সমালোচক দিলীপ ঘোষের (Dilip ghosh) পরিবারই করিয়ে ফেলল এই কার্ড। ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুরে পুরোদস্তুর ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে লাইন দিয়ে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড করিয়ে নিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ছোট ভাই হীরক ঘোষ এবং খুড়তুতো ভাই সুকেশ ঘোষের পরিবার। এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এই খবরে বিস্মিত বিজেপির অন্দরমহল৷ দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে বিজেপির ছোটবড় প্রায় সব নেতা যখন প্রচার করেছেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ভোটের ভাঁওতা, মোদির ‘আয়ুষ্মান ভারত’-ই ভালো। তখনই দিলীপের পরিবারের লোকজন সেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করিয়ে ফেলেছেন। হীরক এবং সুকেশ ঘোষ শুধুই দিলীপবাবু আত্মীয় নন, দু’জনে বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ পদেও আসীন। হীরকবাবু গোপীবল্লভপুর-২ মণ্ডলের বিজেপির সভাপতি। সুকেশবাবু আরও উচ্চ পদে রয়েছেন। তিনি বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি। ফলে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ নিয়ে সমালোচনা করার অধিকার দিলীপবাবু বা দল হিসাবে বিজেপির আর কতখানি আছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেলো৷ রাজনৈতিক মহলের
কটাক্ষ, ‘বিজেপি নেতারা মুখে এক বলেন, আর কাজ করেন অন্য’৷

আরও পড়ুন:স্বামীজির শিক্ষাই আমাদের চলার প্রেরণা, বিবেক স্মরণে মুখ্যমন্ত্রী

ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর-২ ব্লকের কুলিয়ানা গ্রামে বাড়ি দিলীপ ঘোষের। সেই বাড়িতে থাকেন বিজেপির রাজ্য সভাপতির মা পুষ্পলতা ঘোষ, ছোট ভাই হীরক ঘোষ, তাঁর স্ত্রী গঙ্গা ঘোষ এবং তাঁদের ছেলে অরিন্দম। হীরকবাবুর মেয়ে অর্পিতা হাওড়া জেলা হাসপাতালের নার্সিং স্কুলের পড়ুয়া। এই গ্রামেই থাকেন দিলীপবাবুর খুড়তুতো ভাই সুকেশ ঘোষ, তাঁর স্ত্রী প্রতিমা ঘোষ, ছেলে অভি, দুই মেয়ে অপরূপা এবং অনুরূপা। ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি চালু হতেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য আবেদন করেছিল দুই পরিবার। জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে কুলিয়ানা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে হীরকবাবুর স্ত্রী-পুত্র এবং সুকেশবাবুর পরিবারের সমস্ত সদস্য লাইন দিয়ে ছবি তোলেন। স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডও নিয়েছেন তাঁরা। হীরকবাবু জানিয়েছেন, ‘ছবি তোলার দিন আমি মেয়েকে হাওড়ায় ছাড়তে গিয়েছিলাম। তাই ওই দিন ক্যাম্পে যেতে পারিনি। আমার স্ত্রী ও ছেলে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড পেয়েছে। তবে, এই কার্ড আজ পর্যন্ত কাজে লাগেনি।’ সুকেশবাবুর দাবি, ‘বাড়ির সবাই কার্ড করার জন্য বলছিল, তাই আবেদন করেছিলাম। পরিবারের সবাই এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেয়েছে। তবে সুবিধা কী পাব জানি না। লাভ-ক্ষতি কী হবে, সেটা পরের কথা।’
জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম জেলার বিজেপি সভাপতি সুখময় শতপথীর পরিবারের সদস্যরাও এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করেছেন।

Advt

spot_img

Related articles

কনিষ্ঠকন্যার পর আগুনে ঝলসে মৃত্যু বিএনপি নেতার জ্যেষ্ঠকন্যারও

দিন কয়েক আগে বাংলাদেশে (Bangladesh) উন্মত্ত জনতার রোষে আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় বিএনপি নেতার সাত বছরের শিশুকন্যার। বুধবার...

পার্ক স্ট্রিটকে টক্কর দিঘার! বড়দিনে আলো আর লেজার শো-তে জমজমাট সৈকত শহর

বড়দিন মানেই আনন্দ। পার্ক স্ট্রিটের (Park Street) আলোকসজ্জা। পিকনিক। চিড়িয়াখানায় হুল্লোড়। তবে এবার তিলোত্তমাকে (Kolkata) রীতিমতো টক্কর দিচ্ছে...

বাংলাদেশে ফিরল তারেক-কন্যার পোষ্য ‘জেবু’

প্রায় ১৭ বছর পর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে নিজের বাংলাদেশে (Bangladesh) ফিরেছেন BBP চেয়ারম্যান তারেক রহমান (Tarek Rahman)। তারেকের...

স্থান পেলেন না কোন ক্রিকেটার, অর্জুনের তালিকায় উজ্জ্বল তিন বঙ্গ কন্যা

বছর শেষ হতে হাতে বাকি মাত্র কয়েকটা দিন। এরই মধ্যে চর্চায় জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের তালিকা । কেন্দ্রের নির্বাচক...