“গোলি মারো”- স্লোগানে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি, নিন্দা শাসক-বিরোধী দুই শিবিরের

বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই স্লোগানে (Slogan) আর ভাষণে সরগরম হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি। এর মধ্যেই “গোলি মারো” স্লোগান ঘিরে গত দু’দিন ধরে চাপানউতোর চলছে শাসক ও বিরোধী শিবিরে। মঙ্গলবার, তৃণমূলের (Tmc) মিছিলের পর বুধবার ফের বিজেপি–র মিছিলে উঠল বিতর্কিত “দেশ কো গদ্দারো কো, গোলি মারো.‌.‌.‌’‌ স্লোগান। এদিন হুগলির (Hoogli) চন্দননগরের (Chandannagar) তালডাংরা মোড় থেকে মানকুণ্ডু সার্কাস মাঠ পর্যন্ত বিজেপির (Bjp) রোড–শো ছিল। নেতৃত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Shubhendu Adhikari), সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (LocketChatterjee), অর্জুন সিং (Arjun Singh), স্বপন দাশগুপ্তরা (Swapan Dashgupta)। সেই মিছিল থেকেই এই বিতর্কিত ‘‌গোলি মারো’‌ স্লোগান ওঠে।

মঙ্গলবার টালিগঞ্জ থেকে রাসবিহারী পর্যন্ত তৃণমূলের মিছিলে স্লোগান ওঠে, ‘‌বঙ্গাল কে গদ্দারো কো, গোলি মারো.‌.‌.‌’‌। আর তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাতটে হুগলিতে বিজেপি–র মিছিলে ফের বিশ্বাসঘাতকদের গুলি করে দেওয়ার দাবি তুলল বিজেপি। এদিনের মিছিল থেকে এই বিতর্কিত স্লোগান দেন হুগলির বিজেপি–র যুব মোর্চার সভাপতি সুরেশ সাউ (Suresh Sahoo)।

নিজের স্লোগানের স্বপক্ষে সুরেশ সাউয়ের সাফাই, “দেশে অনুপ্রবেশ ঘটলে বা আতঙ্কবাদী হামলা চললে সেনারা যেভাবে প্রতিবাদ করেন সেটাকেই তুলে ধরতে ওই স্লোগান দেওয়া হয়েছে”। একই সঙ্গে তৃণমূলকে আক্রমণ করে সুরেশ সাউ বলেন, “কিছু গদ্দার যারা দেশের খেয়ে, দেশের বিরুদ্ধে যায় তারা তৃণমূলেও আছে। আমরা ভারতীয় সেনাকে বলব, এই ধরনের যে সব গদ্দার আছে তাদের আগে গুলি করে মারুক।” বেশ কিছুক্ষণ সেই স্লোগান ওঠার পর তা নজরে আসে বিজেপি নেতৃত্বের। সঙ্গে সঙ্গে এই স্লোগান দেওয়া বন্ধ করতে বলা হয়। এই স্লোগানের নিন্দা জানিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya) বলেন, এই ভাষা, এই অশালীন শব্দবন্ধ বিজেপি সমর্থন করে না।

আরও পড়ুন: ‘কর্মীরাই দলের বড় সম্পদ’ বলে জেলা তৃণমূলকে উজ্জীবিত করলেন ফিরহাদ

তৃণমূলের মিছিল থেকে এই ধরনের স্লোগানের বিষয়ে তীব্র নিন্দা করেছেন শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এর আগেও বিজেপি–র মিছিলে এই স্লোগান শোনা গিয়েছে। বিজেপি–র এটা ঐতিহ্য। দিল্লিতে অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur) শাহিনবাগ আন্দোলনের স্লোগান দিয়েছিলেন। তাদের সেই স্লোগানে কোনরকম শাস্তি না হওয়ার ফলে অতি উৎসাহিত হয়ে কোন দলীয় কর্মী হয়ত স্লোগান দিয়েছেন। কিন্তু দল তাকে কোনোভাবেই সমর্থন করে না।

Advt

Previous articleকৃষকদের ট্র্যাক্টর র‍্যালি বাতিলের আবেদন নাকচ করল সুপ্রিম কোর্ট
Next articleফের ‘বেসুরো’ প্রবীর: ব্যর্থতা স্বীকার করেও দায় চাপালেন সরকারের ঘাড়ে