এলাকায় বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের দাবিতে রাজ্যসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ। উত্তপ্ত মালদহের (Maldah) হরিশ্চন্দ্রপুরের (Harishchandrapur) ধুমসাডাঙি এলাকা। তিনবছর আগে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বিদ্যুতের লাইন। অভিযোগ, তারপর থেকে অন্ধকারে রয়েছে গোটা এলাকা। এলাকায় বসানো হয়েছে জলের পাইপলাইন। কিন্তু তিন বছরেও জলবরাহের ব্যবস্থা হয়নি। সরকারি কোনও নলকূপও নেই। বাসিন্দাদের ভরসা নিজেদের বসানো অগভীর নলকূপ। সেই জল খেয়ে পেটের রোগে ভুগছেন বাসিন্দারা। বিদ্যুৎ না থাকায় কুপি, লন্ঠনের আলোয় লেখাপড়া করতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করার দাবিতে পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের সর্বস্তরে আবেদন নিবেদন জানিয়েও ফল হয়নি বলে অভিযোগ।

শুক্রবার সকাল থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে ভালুকা হয়ে মালদহগামী রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু হয়। রাস্তায় টায়ার জ্বালানো হয়। বিক্ষোভ-আন্দোলনের জেরে চূড়ান্ত নাকাল হতে হয় নিত্যযাত্রীদের। পুলিশ ও গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এলাকায় গেলেও প্রতিশ্রুতি না মেলা পর্য়ন্ত অবরোধ তোলা হবে না বলে আন্দোলনকারীদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়।

ধুমসাডাঙি এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দাই গরিব! নির্বাচনের মুখে এলাকার এমন বেহাল অবস্থা নিয়ে বাসিন্দারা আন্দোলনে নামায় অস্বস্তিতে শাসকশিবির। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ সর্বত্রই শাসকদল ক্ষমতায় থাকলেও কেন অনুন্নয়নের প্রশ্নে তাদের পথে নামতে হল সেই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিদ্যুৎ সংযোগ ও পানীয় জলের বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত যাতে সমস্যা মিটে তা পঞ্চায়েতকে দেখতে বলা হয়েছে। এরপর এই অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন:দল ঐক্যবদ্ধ, রাজীবের মন্ত্রিত্ব ত্যাগ নিয়ে বিচলিত নন তৃণমূল নেতারা
