দল বিরোধী মন্তব্য ও কাজের জন্য বালির (Bali) বিধায়ক (MLA) বৈশালী ডালমিয়াকে (Baishali Dalmia) দল থেকে বহিষ্কার করে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। যেই এই সময়টার অপেক্ষাতেই ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। বৈশালীকে বহিষ্কারের খবর পেয়ে বালিতে রীতিমতো উৎসবে মেতে উঠলেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। বাজি পুড়িয়ে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে একেবারে উৎসবের মেজাজ। চলল মিষ্টিমুখ। অনেক ধৈর্য্য ধরেছে দল, বিধায়ককে আরও আগে বহিষ্কার করা উচিত ছিল বলে মন্তব্য স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের।

বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়ার আচরণে ক্ষুদ্ধ ছিলেন দলের স্থানীয় কর্মীরা। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ও কর্মীদের অভিযোগ, “দলে থেকেও দলের কোনও কাজই করতেন না বৈশালী। দলের বিরুদ্ধে, দলের নেতাদের বিরুদ্ধে বড় বড় কথা বলতেন।” একইসঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের হুঁশিয়ারি, ক্ষমতা থাকে তো, বালিতে বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়ে যান বৈশালী, যত ভোটে জিতেছেন, তার থেকে বেশি ভোটে হারাতে না পারলে, তাঁরা সকলেররাজনীতি ছেড়ে দেবেন।

উল্লেখ্য, একুশের ভোটে ”বহিরাগত”কে প্রার্থী না করার দাবিতে বালি এলাকায় আগেই পোস্টার পড়েছিল। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বৈশালী ডালমিয়া। আর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করার পরই দলের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করে বৈশালী বলেন, “তৃণমূলস্তরের একাংশ দলটাকে উইপোকার মতো কুরে কুরে খাচ্ছে। পুরনো কর্মীদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। নতুন কর্মীদের জায়গা দেওয়া হচ্ছে না। হাওড়ায় বিধায়ককে অপমান করা হয়। সাংসদকে মানে না। এই কয়েকজন মানুষ দলটাকে নষ্ট করে দিচ্ছে।'”

এখানেই শেষ নয়। আর আগে শুভেন্দু অধিকারীকে “মীরজাফর” বলারও বিরোধিতা করে ছিলেন বৈশালী। তাঁর বক্তব্য, “শুভেন্দুদা দলে সম্মান পেতেন। দল ছাড়তেই বেইমান, জোচ্চোর হয়ে গেল!” বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের জোরদার বহিরাগত ইস্যুতে আপত্তি জানিয়ে বালির বিধায়ক বলেছিলেন, ”ইদানিং অনেকেই বলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বহিরাগত। বাইরে থেকে কেউ আসলে বহিরাগত বলা হচ্ছে। ভারত একটা দেশ। প্রধানমন্ত্রী আমাদের পরিবারের প্রধান।”

আরও পড়ুন-শাহি-সফরে চমক, যেতে পারেন মহারাজের কাছে
