মেলেনি কেন্দ্রীয় স্বীকৃতি, ক্ষুব্ধ মাহেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিবার

দেশের স্বাধীনতা লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন শ্রীরামপুর মাহেশের বাসিন্দা ক্ষিতীশচন্দ্র রায় (Khitish Chandra Roy )। কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার এতগুলো বছর পরেও কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government) তাঁকে স্বাধীনতা সংগ্রামীর প্রাপ্য স্বীকৃতি দেয়নি বলে অভিযোগ। ক্ষিতীশবাবুর স্ত্রী ঝর্ণাদেবী (Jharna Debi ) এখনও জীবিত। আর ২০০৫ সালে ক্ষিতীশবাবুর মৃত্যু হয়েছে।

দুই ছেলের মা বৃদ্ধা জানালেন, তার বড় ছেলে শ্রীরামপুর পুরসভার অস্থায়ী সাফাই কর্মী। নর্দমা সাফ করার কাজ করেন। অন্য ছেলে অটো চালান। যদিও সেটি তাঁর নিজস্ব নয়।

বাংলাদেশের ময়মনসিংহ (Mymensingh ) জেলার একটি গ্রাম্য স্কুলের শিক্ষক সতীন্দ্রচন্দ্র রায়ের (Satishchandra Roy) পুত্র ক্ষিতীশ ১৯২০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। স্কুলের পাঠ শেষ করার পর মেজমামা ধীরেন রায়ের (Dhiren Roy) প্রেরণায় মহাত্মা গান্ধির (Mahatma Gandhi) নেতৃত্বে স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দেন। পরে ১৯৪২ সালের শেষের দিকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর (Netaji Subhas Chandra Roy) নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মিতে (Ina) যোগদান।

পরিবারের সদস্যরা জানালেন, রাজ্য সরকার তাঁকে স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও কেন্দ্রীয় সরকার প্রাপ্য স্বীকৃতি আজও দেয়নি। অবহেলিত অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে বিশিষ্ট এই স্বাধীনতা সংগ্রামীর।

ক্ষিতীশ রায়ের স্ত্রী ঝর্ণা গৃহদেবতার পুজোর পাশাপাশি স্বামীর ছবিও পুজো করেন। তিনি বলেছেন, ”টাকাপয়সা চাই না। স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকার আমার স্বামীকে স্বীকৃতি দিক, শেষ বয়সে এই আমার একমাত্র কামনা।”

আরও পড়ুন:রাজনৈতিক সংঘর্ষে অশান্ত বেলুড়, চলল ‘বোমা-গুলি’

Advt

Previous articleঅস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর মাঝরাতে শ্রীধরকে মেসেজ কোহলির
Next articleরবি ঠাকুর তাঁকে দেশনায়ক বলতেন, তাই নেতাজি জয়ন্তী এখন থেকে “দেশনায়ক দিবস”: মমতা