যে জেলার জমির আন্দোলন থেকে লড়াই করে আজ তিনি মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister), সেই হুগলির (Hooghly) পুরশুড়ায় দাঁড়িয়ে দলবদলুদের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। সাফ জানিয়ে দিলেন যাঁরা দল ছেড়ে স্বার্থের কারণে অন্য দলে যাচ্ছেন, নির্বাচনের পরে তাঁরা ফিরতে চাইলে দলে কোন জায়গা হবে না।
মমতা বলেন, চোরেরা চুরির টাকা লুকাতে বিজেপিতে (Bjp) গিয়ে নাম লেখাচ্ছে। এ সেখানেই তাদের দুর্নীতির কালো টাকা জমা রাখা যাচ্ছে বলে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “যারা যেতে চায় তারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চলে যাক”। ব্যঙ্গের সুরে তিনি বলেন, তা না হলে ‘ওই ট্রেনও’ ছেড়ে দেবে।
এদিনও মুখ্যমন্ত্রী বলেন বিজেপি হল ওয়াশিং মেশিন কালো টাকা সাদা করতে অনেকেই সেখানে যাচ্ছে। কিন্তু তৃণমূল (Tmc) নেত্রী সাফ জানিয়ে দেন, ভোটের পরে তৃণমূল ফের ক্ষমতায় এলে এই ‘বেইমানরা’ যদি দলে ফিরে আসতে চায় তাহলে তাদের কোন জায়গা নেই। এদিন সভায় ছিলেন না তৃণমূলের ‘বেসুরো’ বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল (Prabir Ghosal)। জেলা রাজনীতির খবর খুব দ্রুতই গেরুয়া শিবিরের নাম লেখাবেন তিনি। পুরশুড়ায় দাঁড়িয়ে সেই প্রবীর ঘোষাল-সহ অন্য নেতাদের মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দিলেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
একই সঙ্গে তৃণমূল নেত্রী জানান, যারা অন্য দলে যাচ্ছে এমনিতেও এবারের নির্বাচনে তাঁদের টিকিট দিত না দল। মমতা বলেন, যাঁরা মানুষের কাজ করেননি, তা থেকে দূরে সরে গিয়েছে তাদেরকে প্রার্থী করবে না তৃণমূল। এটা বুঝতে পেরেই অনেকে ভোটে দাঁড়ানোর আশায় বিজেপিতে যাচ্ছেন বলে কটাক্ষ করেন মমতা।
তিনি বলেন, “আমি জেলে থাকব কিন্তু বিজেপিতে যাব না। বিজেপির কাছে মাথা নত করার আগে নিজের গলা নিজের মাথা কেটে ফেলব”। এবারের নির্বাচনে বিজেপি বাংলা থেকে সাফ হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বিজেপির নতুন স্লোগানের পাল্টা বলেন, “হরে কৃষ্ণ হরে রাম, বিদায় নাও বিজেপি-বাম”।
আরও পড়ুন-‘বাংলায় আইনের শাসন নেই’, বিজেপি নেতাদের মামলা খারিজ শীর্ষ আদালতে