একই দিনে দুই পদক্ষেপ শাসক দল তৃণমূলের( tmc)। দল ছেড়ে চলে যাওয়া প্রাক্তন বিধায়ক তথা ব্যবসায়ী স্বপনকান্তি ঘোষের ( swapan kanti ghosh) বাড়িতে গেলেন দোর্দ্দণ্ডপ্রতাপ বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ( anubrata mondal) ওরফে কেষ্টদা। কেষ্টদার সঙ্গে ছিলেন তাঁর সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহও। আর একই দিনে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে দল ভাঙার অভিযোগে রাণাঘাট পুরসভার প্রশাসক ও প্রাক্তন বিধায়ক পার্থ সারথি দাশগুপ্তকে নদিয়া জেলা তৃণমূল সহ-সভাপতির পদ থেকে সরানো হলো। তাঁকে পুর প্রশাসকের পদ থেকে এখন শুধু সরানোর অপেক্ষা। দুই পদক্ষেপেই যথেষ্ট চমক আছে, দাবি রাজনৈতিক মহলের। আর বার্তা হলো, একদিকে যেমন বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক যারা রাখছেন, তাদের যে রেয়াত করা হবে না, সেই বিষয়টি স্পষ্ট করার পাশাপাশি বসে যাওয়া পুরনো ও স্বচ্ছ্ব ভাবমূর্তির নেতা-কর্মীদের ফিরিয়ে আনার প্রয়াস শুরু হয়েছে।

এক সময়ের হেভিওয়েট এবং বিধায়ক স্বপনবাবু যথেষ্টই জনপ্রিয় ছিলেন। পরিবর্তনের জমানায় ২০১১ সালে তিনি সিউড়ি থেকে নির্বাচিত হন। কিন্তু এলাকার পাণীয় জলের সমস্যা সমাধানে দলের অসহযোগিতা ও দুর্নীতির প্রশ্ন তুলে তিনি পদত্যাগ করেন। রাজনীতি থেকে অবসর নেন। অন্য কোনও রাজনৈতিক দলে নাম লেখাননি। অনুব্রতর সঙ্গে তাঁর বিবাদ ছিল রাজনৈতিক মহলে সুপরিচিত। সেই স্বপনকান্তির প্যাটেলনগরের বাড়িতে সোমবার রাতে ‘কেষ্টদা’র পদার্পণে চাঞ্চল্য। একটি সূত্রের খবর, জনপ্রিয় ও স্বচ্ছ্ব ভাবমূর্তির স্বপনকে দলে ফিরিয়ে নিয়ে প্রার্থী করার কথা ভাবা হয়েছে। কারণ, এলাকার কর্মীদের দাবি, প্রার্থী করা হোক কোনও ভূমিপুত্রকেই। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পরেই এই সিদ্ধান্ত। কেউ কেউ বলছেন, এর পিছনে রয়েছে ভোটকুশলী পিকের হাত। অনুব্রত অবশ্য বলেছেন, সৌজন্য সাক্ষাৎ।
অন্যদিকে পার্থর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তলে তলে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। অভিযোগ, অনুগামীদের পার্থ বলেছিলেন, যে যত তাড়াতাড়ি পার বিজেপিতে চলে যাও। দলের জেলা সভাপতি মহুয়া মৈত্রর চিঠি পাওয়ার পরেই তিনি সব অভিযোগ নস্যাৎ করে বলেছেন, দলীয় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার আগে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল।

দু নৌকোয় পা দিয়ে চলা নেতাদের যে তৃণমূল আর রেয়াত করবে না, তা স্পষ্ট করে দিচ্ছেন দলীয় নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন:রাজ্যের নয়া উদ্যোগ ‘লাইব্রেরি অন বোট’
